× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’-এর খসড়া প্রণয়ন

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডে আসছে পরিবর্তন। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে এর নীতিমালারও পরিবর্তন করা হচ্ছে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পরিণত হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে। সেন্সরবোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘দ্য সেন্সরশিপ ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধিত ২০০৬)-এর পরিবর্তে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’- এর খসড়া। নতুন এই নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্রকে চারটি শ্রেনিবিন্যাসে মূল্যায়ন করা হবে। এগুলো হলো- ইউএ (সর্বসাধারণের জন্য উপযোগী)। এরপর হচ্ছে ইউ-১২ (১২ বছর বয়স পর্যন্ত) গ্রেডের সিনেমা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা কেবল পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সঙ্গে দেখতে পারবে। এটি মূলত শিশুতোষ চলচ্চিত্র।
এরপর থাকবে ইউ (১২-১৮) মূলত (১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী) গ্রেডের সিনেমাগুলো ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা দেখতে পারবে। এ ধরনের চলচ্চিত্রে হালকা ভীতিকর দৃশ্য থাকতে পারে। আর ইউ ১৮ হচ্ছে (১৮ বছরের বেশি বয়সী) গ্রেডের সিনেমাগুলো ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সীরা দেখতে পারবেন। এ ধরনের চলচ্চিত্রে পরিমিত মাত্রায় সন্ত্রাস, ভয়াল দৃশ্য, যৌনতা ও বিধি অনুযায়ী সতর্কীকরণ বক্তব্যসহ মাদকের ব্যবহার থাকতে পারে। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’-এ ১৫টি ধারা রয়েছে। সেগুলো হলো-১.সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা ও কার্যকারিতা, ২. সংজ্ঞা, ৩. বোর্ড, বোর্ড কার্যালয় ও আপিল কমিটি গঠন, ৪. চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন, ৫.আপিল, ৬. সার্টিফিকেট সাময়িক স্থগিতকরণ, ৭. চলচ্চিত্রের প্রচার সামগ্রীর অনুমোদন, ৮. সার্টিফিকেট বাতিল করার ক্ষমতা, ৯. অপরাধ, দন্ড ও আপিল, ১০. বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা, ১১. অব্যাহতির ক্ষমতা, ১২. ক্ষমতা অর্পণ, ১৩. আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা, ১৪. দাপ্তরিক কর্তৃপক্ষকে শুনানি ব্যাতিত কোনো নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো আদেশ নহে, ১৫. রহিতকরণ ও হেফাজত ধারায় বিভিন্ন উপধারার বর্ণনা রয়েছে। আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে, স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পের স্বার্থে, অথবা যে কোনো জাতীয় স্বার্থে একটি সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেট আদেশ জারির মাধ্যমে সার্টিফিকেট বাতিল করা যাবে। আরো জানা যায়, কোনো সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র যদি ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’-এর যে কোনো ধারা ভেঙে প্রদর্শন করা হয় সেক্ষেত্রেও সার্টিফিকেট বাতিল করা যাবে আদেশ জারির মাধ্যমে। সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সেন্সরবোর্ড সূত্রে আরো জানা যায়, আসছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের আগেই এই নতুন নীতিমালাটি চুড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর