× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করপোরেট কর হার সুষমকরণ দরকার: আইবিএফবি

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার

ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ আছে। তবে ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে টাকা সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করার সুযোগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)-এর সভাপতি হুমায়ুন রশীদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০ এর ওপর আইবিএফবি‘র প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইবিএফবির ডাইরেক্টর রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও মজিবুর রহমান প্রমুখ।
হুমায়ুন রশীদ বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করা যায়, তবে ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে টাকা সংগ্রহ করে যদি ব্যবসা করা হয় তাহলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের অর্থনীতির উন্নতি হবে। তিনি বলেন, যদি করপোরেট কর কমানো হয় তবে ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী দুজনেই লাভবান হবে। অন্যদিকে টেলিকম খাত অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সত্ত্বেও এ দুটি খাতের কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও কোনো কর সুবিধা পায় না। তাই করপোরেট কর হার সুষমকরণ করা দরকার বলে তারা বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, এদেশের অর্থনীতিতে করপোরেট কর হার তুলনামূলকভাবে বেশি। করপোরেট কর বেশি হলে প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যায়।
যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্যবসায়ী সমাজের বারংবার অনুরোধ ও তৎপরবর্তীতে আশ্বাস সত্ত্বেও করপোরেট কর হার কমানো হয়নি। ব্যাংক খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা না বাড়ানোতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর চাপ বাড়বে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ
হলো এবারের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর জন্য সারচার্জ আরোপযোগ্য নিট সম্পদের সীমা বিদ্যমান ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা অন্ততপক্ষে ৩ লাখ টাকা করা এবং করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আরো বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
হুমায়ুন রশীদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ব্যাংক খাতের সংস্কারে ৬টি প্রস্তাব এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য আইবিএফবি অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়। তবে ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠন ও টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ব্যাংক কমিশন গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক খাতে আস্থা সৃষ্টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করা যাবে বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর