× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাকিব কেন ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা- ব্যাখ্যা দিয়েছে টেলিগ্রাফ

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের জেতা দুই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে জয়ের পর বিশ্ব মিডিয়ায় শুরু হয়েছে সাকিব বন্দনা। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ তারকা সাকিব আল হাসান কেন অবিসংবাদিতভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়’। তার ব্যাখ্যা দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি। এখানে তারা লিখেছে ‘এ বছর বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১৫০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে শুধু একজনই যুক্তি সংগতভাবে তার দেশের সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলার। তিনি সাকিব আল হাসান, ২০১৯ বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত অবিসংবাদিত সেরা খেলোয়াড়।’
এরপরও সাকিবকে খাটো করে দেখা হয়। এর কারণ হিসেবে পত্রিকাটি মনে করে, আইপিএলে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন অথবা ২০১৫ সালে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একই সময়ে তিন সংস্করণে শীর্ষে থাকার জন্য নয়।
আসলে সাকিবকে খাটো করে দেখার মধ্য দিয়ে একটি সত্যও উঁকি দেয়: সাকিব ক্রিকেটের কোনো বড় দলের খেলোয়াড় নন, এতে যে কেউ সহজেই তার বৈচিত্র্যময় প্রতিভা এড়িয়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন অস্ট্রেলিয়া, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছে।’ বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে সাকিবের ক্রিকেটে আসার যোগসূত্রও রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পেলো, সাকিবও জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। এ দুটো ঘটনাকে এক করে টেলিগ্রাফ বোঝাতে চেয়েছে, সাকিবের ক্রিকেটে আসা বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা বিকাশে পরবর্তী ভিত্তি। বিকেএসপিতে ঢোকার ছয় বছর পর জাতীয় দলে অভিষেক হয় সাকিবের। বাংলাদেশ তখন টুকটাক জেতা শুরু করেছে। অর্থাৎ টানা ৪৭ ওয়ানডে হারের সেই অন্ধকার সময়ের দুই বছর পর জাতীয় দলে অভিষেক সাকিবের। প্রতিবেদনে তারপর লেখা হয়েছে, জাতীয় দলে ঢুকেই সহজাত ব্যাটিং আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং দিয়ে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন সাকিব। অতীত হারের ক্ষত মোচন করে এনে দেন স্বাধীনতা। এরপর বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ‘২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কানাডা ও কেনিয়ার কাছে হেরেছিল; ২০০৭ সংস্করণে সাকিবের ৫৩ রানের ইনিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতকে হারাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়েও দুটি উইকেট নিয়েছিলেন টপ অর্ডারের।’
তখন বড় দলগুলোর বিপক্ষে অনিয়মিত জয়ের দেখা পেলেও অবিশ্বাস্য রকম অধারাবাহিক ছিল বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের দুর্বল ফিটনেস থেকে দুর্নীতি আর পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে ভুগেছে দল। সাকিব এর মধ্যেও উৎকর্ষের ধ্রুবতারা হিসেবে জ্বলেছেন, এমন কথাই লেখা হয়েছে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে। ২০১২ এশিয়া কাপে সিরিজসেরা হওয়া থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় থেকে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা দিনগুলোর বেশির ভাগেই পারফর্ম করেছেন সাকিব। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সেরা খেলোয়াড়দের ওপর পারফরম্যান্সের চাপটা বেশি থাকে। সাকিব তার আত্মবিশ্বাস, মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা এবং লড়াকু মানসিকতা দিয়ে সহজেই তা করে আসছেন। ইনিংসের মাঝে বল করার পাশাপাশি প্রায় নিয়ম করেই পাওয়ার প্লে ও শেষ দিকে বল করছেন। গত বছর থেকে তিনে ব্যাটিং শুরুর পর তার গড় ৫৯.৬৮। এর মধ্যে বিশ্বকাপে টানা সেঞ্চুরি রয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। প্রতিবেদনে এসব কথা লেখার পাশাপাশি লেখাটি শেষ করা হয়েছে এভাবে, ‘তার এসব ইনিংসকেও ছাপিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২২ রান তাড়া করে জয়ের মুহূর্তটা, যেখানে দেশের ক্রিকেটে অবদানটা বোঝা যায়। যেন কিছুই হয়নি ভাসা-ভাসা আনন্দে সতীর্থের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রেখেছেন। সব দেশ, স্থান, প্রদেশে সাকিব পারফর্ম করবে এই প্রত্যাশা করা হয়। এবং এখন তার মতো তার দলও করছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর