× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রইলো বাকি দুই: কে হবেন তেরেসা মের উত্তরসূরি?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ২১, ২০১৯, শুক্রবার, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

বৃটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের উত্তরসূরী নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছেন দুই জন বাদে সকল প্রার্থী। চ’ড়ান্ত দফা নির্বাচনের দোড়গোড়ায় এসে টিকে আছেন সাবেক ও বর্তমান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী মাসেই জানা যাবে কে হচ্ছেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও টরি দলের নেতা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, বৃটেনের স্থানীয় সময় বৃহ¯পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের  পঞ্চম দফা। এতে প্রতিযোগিতা করেন তিন জন- বর্তমান পরিবেশমন্ত্রি মাইক্যাল গোভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে চতুর্থ দফায় বাদ পড়েন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ সহ আরও কয়েকজন। চতুর্থ দফার ভোটাভুটিতে তিনি ৩৪ ভোট পেয়েছে চতুর্থ হন।
৫৯ ভোট নিয়ে তৃতীয় হন হান্ট। আগের প্রত্যেক দফার ভোটেই দ্বিতীয় ছিলেন হান্ট। কিন্তু চতুর্থ দফায় এক ধাপ নিচে নেমে যান তিনি। তাই পঞ্চম দফায় তার টিকে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। গোভ তার চেয়ে দুই ভোট বেশি পেয়েছিলেন। যথারীতি শীর্ষে ছিলেন জনসন। পেয়েছিলেন ১৫৭টি ভোট।

পঞ্চম দফায়ও ভোট বণ্টন প্রায় একইরকম ছিল। জনসন পেয়েছেন ১৬০ ভোট। হান্ট পেয়েছেন ৭৭ ভোট। আর তার চেয়ে দুই ভোট কম পেয়েছেন গোভ। এই দফার প্রতিযোগিতা শেষে এক টুইটে জনসন জানান, এমন বিপুল সমর্থন পেয়ে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন। হান্ট জানান, তিনি জানেন যে চ’ড়ান্ত দফায় তিনি আন্ডারডগ হিসেবে লড়বেন তবে জনসনকে সহজে ছেড়ে দেবেন না। হান্ট বলেন, রাজনীতিতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা সবসময়ই ঘটে থাকে। গোভকে কনজারভেটিভ দলের উজ্জল এক তাঁরা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, গোভ তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন,স্বাভাবিকভাবেই তিনি কিছুটা হতাশ তবে তার টিম যে প্রচারণা চালিয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট।  

ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। তবে তখন তাদেরকে এমপিরা নির্বাচন করবেন না। দলের ১ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর ভোটেই নির্বাচিত হবেন তারা। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২২শে জুলাই। যিনিই ক্ষমতাসীন দলের নেতা হবেন, নিয়মানুযায়ী তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে জনসনই এগিয়ে আছেন। পঞ্চম দফার ফলাফল তার ও তার প্রচারণা শিবিরের জন্য এক ধরণের স্বস্তি বয়ে এনেছে। তাদের ধারণা, গোভের চেয়ে হান্টকে পরাজিত করা বেশি সহজ হবে।

এই দুই প্রার্থীর মধ্যকার সকল ব্যবধান ও তাদের রাজনীতির ধরণের দিকে মনোযোগ না দিলেও একটি বিষয় অগ্রাহ্য করা কঠিন- জনসন একজন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী আর হান্ট ব্রেক্সিট গণভোটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। টরি সদস্যরা তাদের দলের নেতা পর্যায়ে এমন কাউকে দেখতে চায় যারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর