ভারতের হিমাচল প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৪ জনের। বৃহস্পতিবার প্রদেশের কুলু জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কুলুর বানজার পাহাড়ি এলাকায় ঘটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। এতে করে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি রাস্তাগুলোর ভয়াবহতা আরো একবার প্রতীয়মান হলো। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটির ছাদে বেশ কিছু যাত্রী সওয়ার ছিলেন। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। হতাহতদের উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। বানজার থেকে গাড়াগুসানির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। যাত্রাপথে প্রায় ৫০০ ফুট গভীর খাদে যায় বাসটি। কুলুর পুলিশ প্রধান শালিনী অগ্নিহোত্রী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে জোর কদমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্থানীয় সরকারি আধিকারিক শীতল কুমার জানিয়েছেন যে, বাসটি সম্ভবত অত্যন্ত দ্র”তগতিতে চালানো হচ্ছিল এবং এতে পরিবহন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। প্রাথমিকভাবে এ দু’টো কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেন, কুলুর বাস দুর্ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো। আহতরা খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি। স্থানীয় সরকার সবরকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষই কুলুর বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে মৃত ও আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার রূপি সাহায্য ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
হিমাচল প্রদেশে এমন ঘটনা বিরল নয়। গত এপ্রিলে ওই অঞ্চলের কাছাকাছি এলাকাতে খাদে বাস পড়ে নিহত হন ১৫ জন।