বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের ওয়াইজঘাট এলাকায় নৌকা ডুবিতে ২ শিশু নিহত হয়েছে। তাদের লাশ ঘটনার ৫ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল। নিহতরা হচ্ছে নুসরাত (৫) ও তার ভাই মিসকাত (১২)। তাদের ওয়াইজঘাট এলাকায় একটি পল্টুনের পাশ থেকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধারকৃত লাশ দুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়াই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতের বাবার নাম মো. বাবুল ফরাজী। তাদের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার উত্তমপুর গ্রামে। সদরঘাট নৌ-থানার ওসি মো. রেজাউল করিম ভূইয়া ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শামীম নামে এক ব্যক্তি তার বোন জোসনা বেগম ও বোনের তিন সন্তান নুসরাত, মিসকাত ও ১ বছর বয়সী নুসাইবাসকে সাথে নিয়ে সদরঘাটের ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে একটি খেয়া নৌকাযোগে সকাল সোয়া ৭টার সময় কেরানীগঞ্জের আলম টাওয়ারঘাট এলাকায় যাচ্ছিল।
নৌকাটি নদীর মাঝখানে এলে এ সময় লঞ্চের তীব্র ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের নৌকার মাঝিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শামীম, বোন জোসনা ও শিশু কন্যা নুসাইবাকে উদ্ধার করে। শিশু নুসাইবা তার মামা শামীমের কোলে ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই শিশু নুসরাত ও মিসকাত নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্মনের নেতৃত্বে একদল ডুবুরিদল, নৌ-পুলিশ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যৌথভাবে তাদের উদ্ধার অভিযানে নামে। অবশেষে নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পরে তাদের দু’জনের লাশ ওয়াইজঘাটের পাশে একটি পল্টুনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সাক্রাতুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, নিহতদের পরিবারের অনুরোধে এবং তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতদের লাশের শুধু সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়াই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।