× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আল জাজিরার প্রতিবেদন / বাংলাদেশে কেন এত মানুষ গুম হন?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ২২, ২০১৯, শনিবার, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন

রহস্যজনক কারণে বাংলাদেশে কয়েক শত মানুষ নিখোঁজ। এখনও প্রিয়জন তাদের খবর পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন। কিন্তু তারা কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না প্রিয়জনের। ফলে তাদেরকে বেদনা সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকতে হচ্ছে। তাদেরই একজন ফারজানা আক্তার। তিনি বলেন, আমার ছেলের বয়স এখন প্রায় ৬ বছর। কিন্তু সে এখনও তার পিতার মুখ দেখতে পায় নি। অনলাইন আল জাজিরায় ‘বাংলাদেশে কেন এত মানুষ গুম হন?’ শীর্ষক এক ভিডিও প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জোরপূর্বক গুমের জন্য বেশির ভাগ পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন এজেন্সিকে দায়ী করেন। কিন্তু সরকার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তবু নিখোঁজ প্রিয়জন কোথায় আছেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার উত্তর পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়েছে আসছে ‘মায়ের ডাক’। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মা, বাবা, ভাইবোন ও শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করে মায়ের ডাক। তারা প্রিয়জনের সন্ধান চাইলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের আর্তনাদ ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়। মাসের পর মাস যায়। বছরের পর বছর।

আল জাজিরা আরো লিখেছে, গত কয়েক বছরে যেসব মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন তার বেশির ভাগই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্য। আরও আছেন ওইসব অধিকার বিষয়ক কর্মী, যারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন। এপ্রিলে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৫০৭টি জোরপূর্বক গুম প্রামাণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে নাগরিক সমাজ বিষয়ক গ্রুপগুলো। এসব মানুষের মধ্যে ২৮৬ জন জীবিত ফিরেছেন ঘরে। ৬২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃত অবস্থায়। বাকি ১৫৯ জন মানুষ এখনও নিখোঁজ। বেশির ভাগ গুমের জন্য সন্দেহ করা হয় পুলিশ, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ ও র‌্যাবকে।

জোরপূর্বক গুম বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন গ্রুপ আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সরকারের প্রথম সারির মন্ত্রীরা পর্যন্ত সেই আহ্বান উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা গুমের রিপোর্টকে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা বলে অভিহিত করছেন। এক্ষেত্রে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা যা করতে পারছেন তা হলো তারা একত্রিত হচ্ছেন এবং সরকারের কাছে উত্তর চাইছেন। এর প্রেক্ষিতে ওই সব পরিবারের ওপর কি প্রভাব পড়ছে এবং দৃশ্যত বিরোধী দলকে টার্গেট করায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রে কি অর্থÑ এ বিষয়ে আল জাজিরা তাদের দ্য স্ট্রিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য নেয় মায়ের ডাক-এর পরিচালক সানজিদা ইসলাম, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, ইন্টারন্যাশনা ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের সেক্রেটারি জেনারেল ডেবি স্টোবহার্ডের। এতে তারা বাংলাদেশে গুম বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর