× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারীর গৌরবমাখা ইতিহাস নিয়ে বিশদ গবেষণার প্রয়োজন আছে

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার

 নারীদের সফলতা, সংগ্রাম, গৌরব এবং প্রতিবাদের ইতিহাসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নারীদের গৌরবমাখা ইতিহাসকে ধারণ করতে হবে। নারীরা শিক্ষিত হচ্ছে। যেকোনো অগ্রগতিতে তারা অবদান রাখছে। গার্মেন্ট সেক্টরে নারীরা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি ক্ষেত্র বিশ্লেষণে নারীকে খুঁজে পাবেন। এই বিষয়গুলো অধিক তাৎপর্যপূর্ণ। আমি মনে করি এর উপরে বিশদ গবেষণা করার প্রয়োজন আছে।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘ইতিহাসে নারী: দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ। সংগঠনটির এটি ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন। পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (ইউজিসি) অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। যুগ্ম-সম্পাদক মো. আবদুর রহিম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। স্পিকার বলেন, গভীর গবেষণার মধ্য দিয়ে ওঠে আসবে ইতিহাসে অনেক নারী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন কিন্তু তাদের নাম হয়তো আমরা সেভাবে চিহ্নিত করতে পারিনি। সেগুলো আমাদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাসে নারী এই বিষয়টি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখি সময়ের পরিবর্তনে এবং কালের পরিবর্তন ও ধারাবাহিকতা এ দুটোর মধ্য দিয়ে নারীর ভূমিকাও একই সঙ্গে আবর্তিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে বাংলাদেশ স্টাডিজ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংযুক্ত করেছে। নারী শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীরা যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন। ঘরে ঘরে মায়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের আহার জুগিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনেও নারীদের ভূমিকা ভোলার নয়। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তারা ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু সেই ইতিহাস অবহেলিত থেকে গেছে। তিনি আরো বলেন, এই সম্মেলন থেকে নারীদের অনেক জানা-অজানা বিষয় ওঠে আসবে। ইতিহাস গবেষক নয় সাধারণ মানুষকেও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে সরকারকেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ইতিহাস পরিষদ শুরু থেকে বাংলায় ইতিহাস চর্চায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম নানাবিধ কারণে ইতিহাস বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। সেটা তাদের দোষ না। সেক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা গলদ রয়ে গেছে। এটি থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষার চর্চার গুরুত্বারোপ করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সহজ এবং সাবলীলভাবে ইতিহাসের বিষয়বস্তু সমূহকে সকলের কাছে বোধগম্য করে বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করে একটি ইতিহাস সচেতন জাতি বিনির্মাণ করা ছিল ইতিহাস পরিষদের মৌলিক দর্শন। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আজকের ৪৯তম সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের যে বক্তব্য আসবে তা বিশ্ব সভ্যতার জন্য নতুন মাত্রা আসবে বলে আমি মনে করি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর