× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার

বাজেটে নিম্নমানের গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এর আগে জহুর ইসলাম চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নমানের ভর্তুকি প্রাপ্ত গুঁড়া দুধের ওপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশন।

অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা আসলে দুগ্ধ খামারীদের কোনো কাজেই আসবে না। কারণ, এইচএস কোডে কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থাকলেও আমদানিকারকরা গোপনে এসআরও করে এনবিআর থেকে ৫ শতাংশ কনসেশন নিয়ে শুল্ক কমিয়ে এনেছিল, যা খামারিরা জানতে পারেনি। আসলে দেশে দুগ্ধ শিল্পের কোনো লাভই হয়নি বিগত অর্থবছরে।
একই সঙ্গে বিগত ১৫ বছরে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে খামারিদের তরল দুধের ন্যায্য দাম সরকার থেকে নিশ্চিত করা এবং সঠিক বাজারজাত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ ১১ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান টুটুল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ভিত্তি করে এবং আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশন আরো দাবি করে, দুগ্ধ প্রসেসিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকার নির্ধারিত দামে তরল দুধের দাম সমন্বয় সাধন, এলাকাভিত্তিক খামারিদের দুধ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার থেকে দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রোগ্রাম করা, গো-খাদ্য আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার করা, আধুনিক খামারভিত্তিক সব বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার করা, বাণিজ্যিক নয় বরং কৃষির আওতায় দুগ্ধ খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল আনা, পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্পের মতো দুগ্ধ খামারিদের আগামী ২০ বছরের জন্য আয়কর মুক্ত বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া এবং স্বল্প সুদে খামারিদের মাঝে ঋণ বিতরণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দুগ্ধ খামার ব্যবসা বাংলাদেশে কৃষি ব্যবসার অনেকগুলো ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। দেশে মোট জিডিপির ১৯ শতাংশ আসে কৃষি থেকে। বিগত ৭ বছরে দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২ লাখ। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ৯৪ লাখ মেট্রিক টন হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুগ্ধ খামার ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ। লাখ লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে এই দেশের কৃষি খাতও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কৃষকরা ধান/গম/ভুট্টা কম দামে বিক্রি করার পর এগুলোর উচ্ছিষ্ট খড় কৃষকদের একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পর্যায়ক্রমে গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হোক। কারণ, মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ দুধ দেশই এখন উৎপাদন করে। বিগত ৭ বছরে মানুষের খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গরুর দুধের প্রতি চাহিদা বেড়েছে বহুগুনে। যার ফলে, দুধের উৎপাদন বিগত ৭ বছরে বেড়েছে ৩ গুণ এবং দেশে দুধের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ দুধ আমরা নিজেরাই উৎপাদন করছি। এমতাবস্থায় আমদানি শুল্ক পর্যায়ক্রমে কিছুটা বাড়িয়ে দেশীয় দুগ্ধ শিল্পকে প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করাই একমাত্র সহায়ক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর