× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশের গবেষণা /জঙ্গিবাদের ৫৬ শতাংশ আসে সাধারণ শিক্ষা থেকে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার

পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, জঙ্গিবাদের জন্য শুধু মাদ্রাসা শিক্ষাকে দায়ী করা যাবে না। কারণ, জঙ্গিবাদে যারা জড়িত তাদের শতকরা ৫৬ ভাগ সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। বাকি ৪৪ ভাগের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী ছাড়াও অশিক্ষিতরা  পৃষ্ঠা ৫ কলাম ১

রয়েছেন। গতকাল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘প্রিভেন্টিং টেরোরিজম অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম থ্রু কমিউনিটি এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে জঙ্গিবাদ নিয়ে এক গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি এসব তথ্য দেন।  সেমিনারে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ২৫০ জনের ওপর পুলিশ সদরদপ্তর একটি গবেষণা করেছে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, গ্রেপ্তার করা ওইসব জঙ্গিদের মধ্যে শতকরা ৫৬ ভাগই সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। বাকী ৪৪ ভাগের মধ্যে ২২ ভাগ মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত। এছাড়া আরও ২২ ভাগ হয়তো অশিক্ষিত, না হয় ইংলিশ মিডিয়ামে শিক্ষিত। এদের মধ্যে ৮২ ভাগই ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদ অথবা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল।
এছাড়া বাকি ১৮ শতাংশ সুপরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত।
মনিরুজ্জামান বলেন, গবেষণায় তরুণরা কেন জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তার কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে। তরুণদের মধ্যে হতাশা বা  দুঃচিন্তা, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের অভাব, তরুণদের মধ্যে স্বপ্নের অভাব, অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি, ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা সেগুলো দেখিয়ে দেওয়ার বা বুঝিয়ে দেয়ার লোকের অভাব।  জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। সেগুলো হল, পরিবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো। তরুণদের মধ্যে খেলাধুলা ও কালচারাল কাজের চিন্তাভাবনা বাড়ানো। স্বেচ্ছাসেবা ও সামাজিক কার্যক্রম বাড়ানো। মূল্যবোধের শিক্ষা চর্চা করা। গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রচারণা। আলেম-উলামা, শিক্ষাবিদদের সামনে এগিয়ে এসে দায়িত্ব নেয়া ও নিজেদেরকে সংযোজন করা। এ জাতীয় পলিসি করা। জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা এন্টি টেরিরিজম ইউনিটের সামর্থ্য বাড়ানো। সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার সঙ্গে পরস্পর সমন্বয় বাড়ানো। জঙ্গি বিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান বেশি বেশি করা।
মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তার জঙ্গিদের গবেষণা নিয়ে আরও বলেন, ২৫০ জঙ্গির কাছ থেকে আমরা জানার চেষ্টা করেছি তারা কোথা থেকে জঙ্গিবাদে এসেছে, কিভাবে এসেছে, তাদের পারিবারিক ইতিহাস ও শিক্ষাগত যোগ্যতা কি, এই পথে আসার কারণ কি। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে আমরা ওই পরিসংখ্যানটি পেয়েছি। তাদের মধ্য শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ১৫ থেকে ২৫। অধিকাংশের এ পথে আসার কারণ ছিল দুঃচিন্তা ও হতাশা।  
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর