সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকার সুপ্রশস্ত সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে ৩ লাখ  বাস-ট্রাক ড্রাইভারকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোকে চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সব ধরনের দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সচিব আরো বলেন, শেরপুর জেলার জন্য সুখবর হচ্ছে, নকলার  কানাসাখোলা-চন্দ্রকোনা-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর বাইপাস) পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি নির্মিত হলে শেরপুরের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে কোনো যানজট ছাড়াই শেরপুরের মানুষ দ্রুত রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও কেওয়াটখালীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আরেকটি সেতুর নির্মাণকাজ আগামী মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান হবে এবং স্বল্পগতির যান চলাচলের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়কের দু’পাশে আলাদা লেন নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে শম্ভুগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায় বন্ধ করতে আবারো অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) অডিটরিয়ামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জোন (ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সড়ক বিভাগ), বিআরটিএ এবং বিআরটিসি ময়মনসিংহ ডিপোর কার্যক্রম সম্পর্কে এক গণশুনানি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এহসান আলী, সওজ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সওজ ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমানসহ প্রমুখ।