টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক যুবক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের মোটরসাইকেল নেয়ার উদ্দেশ্যেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টবলসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন শুক্রবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন হৃদয়, ভুঞাপুর উপজেলার পলশিয়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে সজীব হোসেন ও সদর উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির। সজীব ও হৃদয়কে বৃহস্পতিবার এবং মনিরকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পুলিশ জানায়, গত ১৬ই জুন বিকেলের দিকে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া উত্তরপাড়া বাজারের কাছে রাস্তার পাশে জঙ্গল থেকে মাথা থেঁতলানো ও গলায় রশি পেঁচানো এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ খবর জানতে পেরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের ছামাদ মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম কালিহাতী থানায় গিয়ে মৃতদেহটি তার ছেলে সজীব মিয়ার বলে শনাক্ত করেন। সজীবের মা পুলিশকে জানায়, গত ১৪ই জুন তার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
গত ১৭ই জুন নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ভুঞাপুর উপজেলার পলশিয়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে সজীব মিয়া ও পুলিশ লাইনসের এসএএফ শাখার কনস্টেবল মোশারফ হোসেন হৃদয়কে গত ২০ই জুন গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাদেরকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবান্দবন্দি দেন। এদিকে আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে মনিরুজ্জামানকে পার্ক বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে ওসি জানান।