× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাপাইল সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলে বাধা, দুর্ভোগে গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের মানুষ

অনলাইন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুন ২৩, ২০১৯, রবিবার, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার শেষ মধ্যকার সীমানা চাপাইল মধুমতি নদীর ওপর প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর দু’পাড়ের যাত্রীদের নানা ধরনের হয়রানীসহ দুর্ভোগ এখন চরমে ওঠেছে। প্রভাবশালীদের বাধার কারণে গোপালগঞ্জ থেকে কোন ধরনের যানবাহন এই সেতু দিয়ে সরাসরি নড়াইল যেতে পারছে না। এতে দারুন সমস্যায় পড়েছেন দুই পাড়ের মানুষ ও অটো মালিক-শ্রমিকরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নড়াইলের গাড়ি সরাসরি গোপালগঞ্জে গেলে পুলিশ ও এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেতুর গোড়ায় বাধা দেয় এবং চাঁদা নেয়। ফলে সরাসরি কোন গাড়ি  গোপালগঞ্জ যেতে পারছে না।

এদিকে বাধার কারণে নড়াইল পাড়ের এক অন্ত:স্বত্ত্বা নারী সরাসরি হাসপাতালে যেতে না পেরে ফিরে আসার মারাও গেছেন। ঘটনার প্রতিবাদ করার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

ভুক্তভোগীরা জানান, নড়াইল-বাগেরহাট-খুলনা-যশোর-বেনাপোলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যেনো কম সময়ের মধ্যে গোপালগঞ্জসহ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরাসরি সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারে সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চাপাইল মধুমতি নদীর ওপর প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক এ সেতু নির্মাণ করেন।


সেতুটি নির্মাণের পর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন জেলা শহরের মানুষ এটি ব্যবহার করছিলো। হঠাৎ করে গোপালগঞ্জ পুলিশ ও নড়াইল পুলিশ এবং একটি প্রভাবশালী মহল সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে যাত্রী হয়রানী ও মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।  সেতুর দু’পাড়ের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, নড়াইল এবং গোপালগঞ্জের গাড়ি যদি সরাসরি চলাচল করতে না পারে তাহলে সরকার এ সেতু করেছে কেন? জনগণের কাজে যদি সেতু না আসে তাহলে সেতুটি রাখার দরকার কি বরং ভেঙে ফেলুক।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান বলেন, নড়াইল জেলার গাড়ি সরাসরি গোপালগঞ্জে প্রবেশ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের সুনির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে যেখানে-সেখানে তাদের গাড়ি রাখতে হয়। এতে দুর্ঘটনাসহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই গোপালগঞ্জের অটোরিকসা চালকদের বলা হয়েছে তারা চাপাইল সেতুর নড়াইল পাড়ে যাত্রী নামিয়ে দেবে আর নড়াইলের গাড়ি চালকরা গোপালগঞ্জের পাড়ে যাত্রি নামিয়ে দেবে। এরপর যাত্রী অন্য গাড়ী করে গন্তব্য পৌঁছাবে।

তবে সাধারণ মানুষ মনে করে, নড়াইল জেলার গাড়ি গোপালগঞ্জে এবং গোপালগঞ্জ জেলার গাড়ি নড়াইলে প্রবেশ করতে পারলে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আমদানি-রপ্তানি বাড়বে এবং একইসঙ্গে মানুষের ভোগান্তি কমবে। এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর