ইথিওপিয়ায় আমহারা অঞ্চলে এক অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় নিজ দেহরক্ষির গুলিতে নিহত হয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। রোববারের এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমহারার রাজধানী বাহির দারে এক অভ্যুত্থান চেষ্টা থামানোর সময় সহকর্মীদের গুলিতে আহত হয়েছেন একাধিক সেনা কর্মকর্তা ও দুর্বিত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন সেনাপ্রধান সিয়ের মেকোনেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সেনাপ্রধানের মৃত্যুর আগে সরকার জানিয়েছিল, আমহারায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, পুরো দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা। বাহির দারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোলাগুলি হয়েছে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতেও।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আবি আহমেদ তার বক্তব্যে বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচিত প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ঠেকানোর সময় দুর্বিত্তদের এক হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেনাপ্রধান।
এ ঘটনা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি। তিনি আরো জানান, আমহারায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের একটি গোপন বৈঠকে হামলা চালায় তাদের সহকর্মীরা। এতে নিহত হয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নেগুসু তিলাহুন এর আগে এক বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, আমহারার আঞ্চলিক সরকারের প্রধান আম্বাচেও মেকোনেনকে উৎখাত করতে সেখানে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। অভ্যুত্থানকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এক বিবৃতিতে আমহারা সরকার জানিয়েছে, সাবেক এক সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আবি আহমেদ। ইথিওপিয়ায় রাজনৈতিক নীপিড়নের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত করে দেয়া, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জাতিসংঘ জানিয়েছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করার পর থেকে সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে জাতিগত দাঙ্গা ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৪ লাখ মানুষ।