× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি কমেনি’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) জুন ২৩, ২০১৯, রবিবার, ৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক প্রভাব, স্বদিচ্ছার অভাব ও নেতিবাচক দিকে গুরুত্বারোপ না থাকার কারণে জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও তাদের দুর্নীতি কমেনি। তাদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তার বিপরীতে সঠিক জবাবদিহিতা নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি আয়োজিত ‘জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার: নীতি এবং চর্চা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে জনপ্রশাসন সম্পর্কিত ১১টি কৌশলের ওপর গবেষণা ও তার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে জনপ্রশাসনের নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, পদোন্নতিতে  মেধা ও যোগ্যতার পুরস্কার না দিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন, ওএসডিকে (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এখন ভিন্নার্থে দেখা এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ যথেষ্ট হারে বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য তুলে ধরা হয়।

টিআইবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মহুয়া রউফ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাবের কারণে জাতীয় শুদ্ধাচারের অনেক কৌশলের চর্চা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। যা প্রশাসনে ইতিবাচকের থেকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে যোগ্যতা নয়, ক্ষমতাসীনদের পছন্দ প্রাধান্য পাচ্ছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচারের অবস্থাটি সামগ্রিতভাবে মিশ্র।
কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি আছে। কিছু কিছু উদ্যোগ শুরুই হয়নি। তিনি সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনের দাবি তুলে বলেন, এটা হওয়ার কথা ছিল কথা ছিল প্রজাতন্ত্র আইন। এই আইনের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত ধারার সমালোচনা করে বলেন, এই ধারাটি দুর্নীতি প্রতিরোধে বাধা প্রদান করবে। সরকারি চাকরিজীরা দুর্নীতি করলে কেনো তাদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা যাবে না, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। এটা সংবিধানে সকলের জন্য আইন সমান এর পরিপন্থি। এই ধারাটি বাতিল করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ভিসি পারভিন হাসান, টিআইবির উপদেষ্টা প্রফেসর সুমাইয়া খায়ের, টিআইবির পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর