× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লাইনে দাঁড় করিয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ

অনলাইন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুন ২৩, ২০১৯, রবিবার, ৪:২৭ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে লাইনে দাঁড় করিয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দিয়েছেব পল্লী বিদ্যুৎ-এর এক কর্মকর্তা। এ সংশ্লিষ্ট ছবি এবং খবর এখন টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা মানুষের মুখে মুখে।

বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে ১২৬ পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শৈলকুাপা উপজেলার এলাকা-৭ এর পরিচালক নুরুজ্জামান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় বিষয়টি। অবশেষে গ্রাহকদের চাপের মুখে ঘুষের ১ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ টাকা তিনি ফেরত দিতে বাধ্য হন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া গ্রামের পৃথক দু’টি স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা বুঝে নেন গ্রাহকরা।
এ সময় ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন, শৈলকুপা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামান, সমিতি বোর্ডের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন ও সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) মো. রেজাউল করিম রাজিব উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সুযোগে বুঝে ওই এলাকার দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুষ নেন পরিচালক নুরুজ্জামান। ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে গোপন অনুসন্ধান কালে খবরের সত্যতা পান জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শৈলকুপা ৭ নং এলাকা পরিচালক নুরুজ্জামানের নাম বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে এই টাকা গ্রাহকদের ফেরৎ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। লাইনে দাঁড় করিয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

বৃহস্পতিবার রাতে ঘুষখোর পরিচালক নুরুজ্জামান নিজেই গ্রাহকদের হাতে সেই টাকা তুলে দেন। ওইদিন দুর্নীতি বিরোধী ব্যানার ঝুলিয়ে ১২৬ পরিবারকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে পরিচালক নুরুজ্জামান গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে খুলুমবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও বাগদিপাড়ার অন্তত ১৫০ জনের কাছ থেকে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে গড়ে ৭৫০ টাকা হারে ঘুষ নেন। আত্মস্বীকৃত এই ঘুষখোর শৈলকুপার হাকিমপুর গ্রামের মৃত নজির উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এলাকা পরিচালক হওয়ার আগে তিনি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির তালিকাভুক্ত ইলেট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। এলাকা পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর