× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৮শে জুন হচ্ছে না জাবি’র সিন্ডিকেট নির্বাচন

বাংলারজমিন

জাবি প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৯, সোমবার

আগামী ২৮শে জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সিনেট অধিবেশন। সেই সিনেট অধিবেশনে তিনজন সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা কথা থাকলেও তা সিনেটে এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের দাবির মুখ প্রশাসন আসন্ন সিনেট অধিবেশনে ১৯৭৩ এর এ্যাক্টের ২২,১ (এফ)  ও ২২,১ (আই) ধারা মতে মেয়াদোত্তীর্ণ সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে নির্বাচন থেকে পিছু হটেছে প্রশাসন। মূলত একাডেমিক কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও হেরে যাওয়ায় সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সিনেটের জাকসু প্রতিনিধি বাদে মোট ৮৮টি সদস্যপদ রয়েছে। বিশ্লেষণ বলছে, সিনেটে ভিসির পক্ষে ৫১  ভোট এবং ভিসিবিরোধী ২৭ ভোট এবং বিএনপির ১০ ভোট রয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ ও শিক্ষাবিদ ক্যাটাগরির কয়েকজন সিনেট সদস্য ২৮ জুনের সিন্ডিকেটে না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
যাদের ভোট ভিসির পক্ষে যাওয়ার কথা। এর ফলে ভিসির ভোট কমে ৪৫ এ নেমে আসতে পারে। অন্যদিকে বিএনপি ও ভিসিবিরোধী আওয়ামী অংশের ভোট ৩৭ হলেও তারা ভিসিজোট থেকে ভোট টানার চেষ্টা করছেন। তাদের সে চেষ্টা একাডেমিক কাউন্সিলে ‘সফল’ও  হয়েছে। এসব কারণে ফের ঝুঁকি নিতে চান না ভিসিপন্থিজোট। উল্লেখ্য ২২,১ (এফ) ধারায় সিনেট থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে বর্তমানে সিন্ডিকেট সদস্য আছেন সাবেক ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ও কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন মোল্লা। অন্যদিকে ২২,১(আই) ধারায় সিনেটরের ভোটে বিশেষ নাগরিক প্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ সরকারের সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান সিন্ডিকেটে আছেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ব্যতীত বাকি দু’জন ভিসির পক্ষেই আছেন। এদিকে যেহেতু এই সিনেটে নির্বাচন এজেন্ডাভুক্ত হয়নি ফলে পরের অধিবেশনের আগ পর্যন্ত তিনজনই সিন্ডিকেট সদস্যরা বহাল থাকছেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সিনেট ডাকার রেওয়াজ নেই বললেই চলে। এদিকে নির্বাচন থেকে প্রশাসনের পিছু হটাকে বিরোধীরা প্রশাসনের মনস্তাত্ত্বিক পরাজয় হিসেবে দেখছে। ভিসিবিরোধী ত্রিদলীয় ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক জামাল উদ্দীন বলেন, ‘প্রশাসনের মধ্যে বরাবরই নির্বাচনভীতি রয়েছে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমরা জেতার পর সে জয়কে ক্যু করে নিয়ে যায় প্রশাসন। তবুও একাডেমিক কাউন্সিলে তারা হেরেছে। এখন সিন্ডিকেট নির্বাচন না দেওয়া খুবই দুঃখজনক। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি তিনি এখন ডিন নির্বাচনও না দিতে পারেন। শিগগিরই এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’ যোগাযোগ করা হলে ভিসিপন্থি ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পর্ষদ’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘দেশের বাইরে ছিলাম। মাত্র ফিরেছি। আমাদের দলের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর