× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবে না /১৫ই জুলাই ছাত্রদলের কাউন্সিল

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুন ২০১৯, সোমবার

ছাত্রদলের কাউন্সিল আগামী ১৫ই জুলাই। কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে এদিন সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে। তবে  বিবাহিত কোনো ছাত্র এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। গতকাল রোববার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের এ তারিখ ঘোষণা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্রদলের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন করার জন্য কাউন্সিল আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৫ই জুলাই অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হবে। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নব উদ্যমে ছাত্রদলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাউন্সিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন, বাছাই ও আপিল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুই একদিনের মধ্যে ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হবে। এদিকে বিএনপির যুগ্মসচিব খায়রুল কবির খোকনকে প্রধান করে ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কাজ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে খায়রুল কবির খোকন বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪শে জুন। ভোটার তালিকার আপত্তি গ্রহণ ২৫শে জুন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ২৬শে জুন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ ২৭ ও ২৮শে জুন। মনোনয়ন গ্রহণ ২৯ ও ৩০শে জুন। প্রার্থিতা যাচাই বাছাই ১ থেকে ৩রা জুলাই। প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ ৪ঠা জুলাই। প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি প্রহণ ৫ই জুলাই। আপত্তি নিষ্পতি ৬ই জুলাই এবং ৭ই জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ তারা তো ছাত্রের মধ্যেই পড়ে না। তাদের প্রার্থী হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। শুধু বিবাহিত নয়। প্রার্থী হতে ২০০০ সালে এসএসসি এবং রেজিস্ট্রেশন ১৯৯৮ সাল হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, সাবেক ছাত্রনেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও আকরামুল হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ঈদের একদিন আগে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে ৪৫ দিনের মধ্যে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এই লক্ষ্যে গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। ওই সার্চ কমিটিতে ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। তবে ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কাউন্সিলে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে হলে তাকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য হতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে এবং ২০০০ সাল থেকে পরবর্তীতে যে কোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতাদের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরে তারা নয়াপল্টন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। দেয় আল্টিমেটাম। একই সঙ্গে তারা কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়াসহ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপর হামলার ঘটনা ঘটায়। এরই জের ধরে শনিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর