লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারি ইউনিয়নে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নাসির উদ্দিন নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পার্শ্ববর্তী এলাকার নিজামসহ তার সহযোগিরা। গুরুতর আহত নাসির উদ্দিনকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নাল আবেদিন। এর আগে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ মান্দারী আমিন বাজার রোডের খলিল ভূঁইয়া বাড়ির দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত নাসির ঢাকায় চাকুরী করে ও ওই এলাকার চুলু ব্যাপারি বাড়ির আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মান্দারি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সাত্তারের মেয়ে সুবর্ণাকে বেশ কয়েকদিন ধরে দিঘলী ইউনিয়নের দুর্গাপূর এলাকার কামালের ছেলে নিজাম স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ইভটিজিং করে আসছিল। বিষয়টি গত দুই তিনদিন ধরে নাসিরের চোখে পড়ে। রোববার বিকালে স্কুল ছুটি হলে সূবর্ণা বাড়ির পথে রওনা হয়। এ সময় তার পিছু নেয় নিজাম।
এতে নাসির বাধা দিলে নিজাম নাসিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
কিছুক্ষণ পর নিজাম ফোন করে রিয়াদ, সাইমুন, হৃদয়, শাকিল, রাকিবকে ডেকে নিয়ে আসে। তারা এসে নাসিরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে নাসির গুরুতর আহত হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা নিজাম ও রিয়াদকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে।
আহত নাসিরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় পুলিশ পাঠিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।