তুরস্কে বিয়ে সেরে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত ও ব্যবসায়ী নিখিল জৈন রোববারই কলকাতায় ফিরে এসেছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে তারা ধরা পড়েছেন ফটোগ্রাফারদের কাছে। দু’জনেই ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছেন। নুসরাতের হাতে এখনো মেহেদির ডিজাইন জ্বলজ্বল করছে। নিখিলের হাতেও মেহেদির ডিজাইন। এবার তাদের আইনি মতে বিয়ে হবে। সম্ভবত আজ বা দু’-একদিনের মধ্যেই হবে এই বিয়ে। এরপরে বিরাট রিসেপশন। তুরস্কের বিয়েতে মিমি চক্রবর্তী ছাড়া টালিউডের কোনো সহকর্মীই হাজির ছিলেন না। তবে বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়েতে মিমি যে মজা করেছেন তার ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে বিয়ের ছবি থেকে বিয়ের পরের অনেক ছবি শেয়ার করেছেন নুসরাত ও নিখিল। তবে বিয়ের পরে স্ত্রীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে যে ছবি পোস্ট করেছেন নুসরাতের স্বামী তা নিয়ে নেট দুনিয়ায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। সেই ছবিতে দু’জনের গালে ও গলায় দেখা গেছে, একটা লাল দাগ। এটাকে অনেকে ব্যাখ্যা করেছেন ‘ভালোবাসার কামড়’ হিসেবে। সাধারণত কাঁধেই ভালোবাসার কামড় বা লাভ বাইট দেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। বিদেশে ভালোবাসার কামড়ের খুব চল রয়েছে। নিখিল ও নুসরাতের ছবিতে দেখা গেছে, নিখিলের গলার কাছে একটা লাল দাগ। যা তার অন্য ছবিতে নেই। আবার নুসরাতের গলায় একটা লাল দাগ ফুটে উঠেছে। তুরস্কের বোদরুমে টালিউডের প্রথম ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সেরেছেন নিখিল ও নুসরাত। তাদের বিয়ের অনেক ছবি তারা দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। কলকাতার বস্ত্র ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের রঙ্গোলি ব্র্যান্ডের শাড়ির বিজ্ঞাপন শুটে নিখিলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নুসরাতের। সেই বন্ধুত্ব অল্পদিনেই পরিণতি পেয়েছে পরিণয়ে। পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন দু’জনে। এদিকে বিয়েতে হাজির থাকার অনেক ছবি মিমিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। নুসরাত এবং নিখিলের সঙ্গে আলাদা আলাদা ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আ জার্নি টু রিমেম্বার। একসঙ্গে সুখে থাকো তোমরা’। একটি ছবিতে মিমি লিখেছেন, ‘এনজেঅ্যাফেয়ার’। এটাই ছিল নিখিল এবং নুসরাতের বিয়ের সোশ্যাল ওয়ালে ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগ। মূল অনুষ্ঠানের ডিজাইনেও ব্যবহার হয়েছে এই বিশেষ হ্যাশট্যাগ।