শ্রীমঙ্গলে একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীর ৪৪ বছরের দখলীয় ভূমি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। শহরের নিউ মার্কেট নিবাসী মোছাঃ হেওয়ালী বেগমের স্বত্ব মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাজেরাবাদ গ্রামের বালিশিরা পাহাড় ব্লক ১ এর ও ৩৬ দাগের প্রায় দেড় দুই কোটি টাকা দামের ৩ একর ৫০ শতক ভূমি জবরদখল নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেটটি। গত ১ মাস পূর্বে ভূমির মালিক হেওয়ালী বেগমের পুত্র মো. আবিদুর রহমান চৌধুরীর (সোহেল) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার দাবি করে গুম করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হলেও এ ঘটনায় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। গতকাল শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হেওয়ালী বেগমের পুত্র মো. আবিদুর রহমান চৌধুরী (সোহেল) এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন আশীদ্রোন ইউনিয়নের বালিশিরা পাহাড়, ব্লক নং ১ এ আমার মা হেওয়ালী বেগম পৃথক কবলা দলিলের মাধ্যমে ৩ একর ৫০ শতক ভূমি ক্রয় করেন। জমির এসএ রেকর্ডমূলে নামজারি করে ভূমি কর পরিশোধ করে আসছি’। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাধানগর নিবাসী আবদুস শুক্কুর গং কিছু জাল দলিল সৃষ্টি করে মায়ের বর্ণিত সম্পত্তি জবরদখল করে নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫শে মে উক্ত আবদুস শুক্কুরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ওই ভূমি জবরদখলসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় আবদুস শুক্কুরসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আইনের আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি প্রতিকার চেয়ে শহরের গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের অবগত করি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি- শহরের কিছু প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে আমার প্রতিপক্ষের পক্ষাবলম্বন করে নিজেরাই আর্থিকভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূমি খেকো চক্রের হাত থেকে জমি রক্ষা ও পরিবারের নিরাপত্তা বিধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। আনীত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুস শুক্কুর রোববার বিকালে মুঠোফোনে বলেন, সোহেল চৌধুরীর মায়ের জমির দাগ আলাদা এবং আমাদের বায়নাকৃত কেনা জমির দাগ আলাদা। ‘আমি অন্যের জমি দখল করবো কেন। আমি আমার ৩৭ দাগেই আছি। এ ছাড়া চাঁদা চাওয়া বা গুম করে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগটিও সত্য নয়। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আবদুস ছালেক বলেন, এখানে ৩৬ ও ৩৭ দাগ নিয়ে ঝামেলা। দুই পক্ষকে ডেকে এ বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়াধীন আছে।