গোয়াইনঘাটে ৮নং তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিয়ে দু’টি গ্রুপের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। দু’টি গ্রুপ দু’টি স্থানে উক্ত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর দাবি করে আসছে। নীতিমালার শতভাগ নিয়ম-কানুন মেনে বর্তমান স্থানে চলে আসা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া পক্ষকে আদালতসহ কর্তৃপক্ষের একাধিক স্থানে ভুল তথ্য দিয়ে ওই বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের পাঁয়তারায় ব্যস্ত অপর একটি পক্ষ। এমন অভিযোগ উঠেছে ঐ বিদ্যালয় স্থানান্তরকে নিয়ে। কোমলমতি ৪৬৫ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত না করা এবং স্ব-স্থানে বহাল ওই বিদ্যালয়টি রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সিংহভাগ মানুষ জন। জানা যায়, তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের জনসাধারণের সুবিধার্থে ওই বিদ্যালয়টি ১৯৪৭ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির চলমান কার্যক্রমে ২০০৬ সালে কতিপয় মহলের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের পাশে মাত্র ১৫ শতক ভূমিতে স্থাপিত পাইকরাজ স্কুলটি জলমগ্ন থাকে এমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভুল তথ্য দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করানো হয়। উক্ত স্মারক ও প্রজ্ঞাপন জারির ক্ষেত্রে যে ম্যানেজিং কমিটির রেজ্যুলেশন দেখানো হয় তাও ভুল বলে দাবি করা হয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর ম্যানেজিং কমিটির নজরে আসে বিষয়টি। বিষয়টির প্রতিকারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নেন এবং স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে উক্ত মামলাটি তদবিরের অভাবে খারিজ হয়ে যায়। এর পর উক্ত খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বাদী মখলিছ উদ্দিন সিভিল পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ডিসমিস করেন। শিক্ষা অধিদপ্তর হয়ে বিষয়টি গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে আসে। গত ২৪/০৮/২০১৪ ইং সালে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতিসহ সদস্যরা সরজমিন উক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং শতভাগ নীতিমালা বহাল থাকায় স্বস্থানে পাইকরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার স্বপক্ষে মতামত প্রদান করেন এবং স্থানান্তরিত স্থানে মাত্র ১৫ শতক জমি থাকায় যাহা নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ায় উক্ত স্থানান্তর আদেশ বাতিলের স্বপক্ষে ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত হয় এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে পরামর্শ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন জানান, প্রস্তাবিত স্থানান্তরিত এলাকাটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সিলেট, সালুটিকর, গোয়াইনঘাট সড়কঘেঁষা এবং সরকারের ভূমি অফিসে মাত্র ১৫শতক নামজারিভুক্ত ভূমিতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে বিদ্যালয় স্থানান্তরের ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু হয়েছে। এলাকার শিক্ষা সচেতনসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এ ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রামসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সক্রিয় রয়েছি।