ধামরাইয়ে প্রেমিক যুগলকে অপহরণের পর জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে কুল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুণ্ড গ্রামে। এ ঘটনার পর গতকাল সকাল পর্যন্ত ধামরাই থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েও মুক্তিপণ আদায়কারীদের আটক করতে পারেনি। সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, রাজধানী ঢাকার মিরপুর কোটবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ রাজবংশীর ছেলে কৃষ্ণ রাজবংশী (১৯) তার প্রেমিকা ধামরাইয়ের জয়পুরা এলাকার রাজবংশীয় এক কন্যাকে নিয়ে ভগ্নিপতি ধামরাই উপজেলার জলশীন গ্রামে বেড়াতে যায়। এরপর সকাল ১১টার দিকে ওই প্রেমিক যুগল পাশের সীতিপাল্লী আলাউদ্দিন পার্কের সামনে যায়। এ সময় এলাকার চিহ্নিত সানি ও সোহরাবের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয় যুবক ওই প্রেমিক যুগলকে অপহরণ করে পাশের লাড়ুয়াকুণ্ড এলাকার জামাই উজ্জ্বলের পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর প্রেমিক যুগলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে দাবি করে ৩০ হাজার টাকা। পরিবারের লোকজনের আসতে বিলম্ব দেখে ওই যুবকরা ওই প্রেমিক যুগলকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টাও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে কোনো উপায়ান্তর না দেখে কৃষ্ণ রাজবংশীর ভগ্নিপতি গোবিন্দ রাজবংশী এবং মেয়ের অভিভাবক হিসেবে নরেন্দ্র রাজবংশী সন্ধ্যায় ওই জিম্মিকারীদের কথামত লাড়ুয়াকুণ্ড জামাই উজ্জ্বলের পোল্ট্রিফার্মে যায় এবং হাত পায়ে ধরে মুক্তিপণ হিসাবে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। সরজমিনে গেলে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে সানি ও সোহরাব নামের ওই যুবক এলাকা থেকে গা-ঢাকা দেয়। তবে এ ব্যাপারে কথা হয় পোল্ট্রি ফার্মের মালিক উজ্জ্বল ওরফে জামাই উজ্জ্বলের সঙ্গে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের কথা অস্বীকার করে ১১ হাজার টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন উজ্জ্বল। এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি জানার পর ওই যুবকদের আটকের জন্য থানার এস আই শংকরকে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই শংকর জানান, ওই যুবকদের আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।