× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে টোল পয়েন্ট ইজারা দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ

বাংলারজমিন

বান্দরবান প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের টোল পয়েন্ট ইজারা দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র জমা দেয়া নিয়ে হাতাহাতি, প্রভাব বিস্তার এবং অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে দরপত্র বাতিল ও পুনরায় দরপত্র জমা নেয়ার দাবি করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবর একটি অভিযোগ ও দিয়েছেন কয়েকজন ঠিকাদার। জানা গেছে, ২০শে জুন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন দশটি টোল পয়েন্টের দরপত্র শিডিউল জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই টেন্ডার বক্স লুকিয়ে ফেলেন দায়িত্বে থাকা পরিষদের কর্মচারীরা। ফলে অনেকেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়েও দরপত্র জমা দিতে পারেননি। ‘টংকাবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ হাঙ্গও মৌজায় বাইয়ার পাড়া সড়ক পথ ও হাতির ডেরা সড়ক পথ এবং ভাগ্যকুল-ঠাকুরদীঘি সড়ক পথের’ দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানিয়েছেন, বেলা ১১টার দিকে টংকাবতী ইউনিয়ন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরিফসহ ১০-১২ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক টেন্ডার বাক্সের দখল নেন। এ সময় তারা কাউকে শিডিউল জমা দিতে দিচ্ছিলেন না। দরপত্র জমা দিতে বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও এক সদস্যের সামনেই তারা মারমুখী ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন।
পরে বেলা ১২টার আগেই এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না করেই জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও পাবত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসিমং এসে বাক্স তুলে নেন। এসময় তিনি জানান, আর কোনো শিডিউল নেয়া হবে না। দরপত্র কমিটির দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দরপত্র জমা নিয়ে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার খবর আমি পাইনি। তাছাড়া দলীয় কাউকে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। তবে কোনো প্রকার অনিয়মের অভিযোগ লিখিত পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।  জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসিমং জানান, অভিযোগকারী ঠিকাদাররা সঠিক সময়ে দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই শিডিউল নেয়া হয়নি। এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর