পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হুরমইবুনিয়া খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ভেঙ্গে এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এতে ইউনিয়নে ৪টি গ্রাম, ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিজটির আংশিক অংশ ভাঙা ছিল। কিছুদিন পূর্বে ব্রিজটি র্যালিং ভেঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। এ ব্রিজটি দিয়ে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া, দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া, ছাদেম মুন্সি ও উত্তর ঝাটিবুনিয়াসহ প্রায় ৪ থেকে ৫ গ্রামের জনসাধারণ, ময়দা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশত শিক্ষার্থী চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জনসাধারণ কোন রকম ব্রিজটির ভাঙা অংশের উপর গাছ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার হুরমইবুনিয়া খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি পশ্চিম অংশের র্যালিং ভেঙে খালের মিশে গিয়েছে।
ভাঙা অংশে স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে চলাচল করছে।
দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মোসা. সাদিয়া আক্তার বলে, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ভয়ে আমরা ব্রিজটি পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছিনা। যার কারণে আমাদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আমরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফিক মল্লিক জানান, ব্রিজটি প্রায় তিন বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় থাকলেও এর কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কথা শুনেছি। অতি শিঘ্রই ঐ স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, ব্রিজটি পরিদর্শন করে দ্রুত নতুন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।