× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেনীতে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন, চারজনের ১৪ বছর কারাদণ্ড

অনলাইন

ফেনী প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুন ২৫, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৩:২৩ পূর্বাহ্ন

ফেনীর সোনাগাজীতে এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক সাগরকে (২৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার অপর চার আসামীর প্রত্যেককে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর পাঁচ আসামীকে খালাস দেয়া হয়েছে। আজ ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) হাফেজ আহমেদ জানান, ২০১৩ সালের ২৫ মে সোনাগাজী ছাবের পাইলট হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্যদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে পৌর এলাকার চরগণেশ গ্রামের চৌধুরী লেন রাস্তার মোড়ে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা বখাটে যুবক আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগর তাকে জোরপূর্বক কালো রং’র মাইক্রোবাসে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। পরে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে বান্দরবান জেলা থেকে উদ্ধারের পর মামলাটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।


দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সোনাগাজী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র বড়–য়া একই বছরের ১২ই জুলাই ওই মামলায় চরডুব্বা গ্রামের তিন সহোদর যথাক্রমে আবু তাহেরের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগর (২০), আবু নাছের সোহাগ (২৩), মো. ইকবাল হোসেন (২৫), আবু তাহেরের স্ত্রী বিবি কাউসার (৪৫), সুজাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে বায়েজিদ ফয়সাল (২০), মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলাউদ্দিন আলো (২১), চরগনেশ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ (২২), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস (২২), মো. হোসেন আহম্মদের ছেলে মো. রিয়াজ ওরফে রিয়াদ (২৩), নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চর হাজার গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (২৩) আসামী করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার না হলেও অপরাপর আসামীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পিপি হাফেজ আহমেদ আরও জানান, মামালার দীর্ঘ শুনানিকালে ১৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে আদালতে ৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বাদি পক্ষ ও আসামী পক্ষের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত অপর চার আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস, বায়েজিদ ফয়সাল ও মো. রিয়াজ ওরফে রিয়াদ প্রত্যেককে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ আইন মোতাবেক ভিকটিমকে প্রদানের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফেনীতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী শুরু থেকে পলাতক থাকলেও অপরাপর আসামীরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারের পর জামিনে যায়। গত ৬ই মে  ৮ আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠায় বিচারক।


রায়ে মামলায় প্রধান আসামীর দুই ভাই আবু নাছের সোহাগ ও মো. ইকবাল হোসেন এবং তাদের মা বিবি কাউসারসহ ৫ আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামী ছাড়া অন্যান্য আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডাপ্ত আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর