ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের একদিন পরে এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম সোহাগ(৭)। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার চড় গড়গড়ি গ্রামের একটি মাঠ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ঈশ্বরদী ওসাকা কিন্ডার গার্টেনের নার্সারি ক্লাসের ছাত্র ও উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ি গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। পুলিশের ধারণা শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, সোমবার বিকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। শিশুটিকে খুঁজে পেতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী মাঠের পাশে করলা ক্ষেতে এক শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি সোহাগের বলে শনাক্ত করে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকির জানান, সোমবার বিকালে বাড়ির কাছের মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে আর বাড়িতে আসেনি। অনেক খোঁজখবর, গ্রামের মসজিদে মাইকিং করেও সোহাগের সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার ক্ষেতে করলা তুলতে গিয়ে স্থানীয় এক কৃষক শিশুর লাশ দেখতে পায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার (ইউপি সদস্য) থানায় খবর দিলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে শিশুটিকে হত্যা করা হতে পারে। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।