× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারি চাকরিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার

সরকারি চাকরিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। বর্তমানে যারা সরকারি চাকরি করছেন তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। এ ধরনের একটি অনুশাসনের ফাইলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চেয়েছিলাম। তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। এটা এখন বাস্তবায়ন হবে পর্যায়ক্রমে। তিনি বলেন, আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা যদি মাদকাসক্ত হন তাহলেও আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এখন আমরা চাকরিতে প্রবেশের সময় এটা বাস্তবায়ন করছি। কেউ সরকারি চাকরিতে ঢোকার সময় অবশ্যই তাকে ডোপটেস্ট দিয়ে আসতে হবে। চাকরিপ্রার্থীর রক্তে যদি মাদকের আলামত পাওয়া যায়। তাহলে আমরা তার আবেদন হয়তো বাতিল করে দিব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবারই আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির সরকার প্রধানের সঙ্গেও আমি আলোচনা করেছি। আমাদের সঙ্গে তারা অনেক কথাই বলেছেন কিন্তু কোনো কথাই কার্যকর হয় না। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার সব সময় বলে আসছে এগুলো অবৈধ। তবে আমরা চাই এ কথার বাস্তবায়ন হোক। কারণ তারা এগুলোর বিরুদ্ধে সব সময় বলে আসলেও কাজ হচ্ছে না। তবে ভারতের সঙ্গে এসব আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেনসিডিলের সংখ্যা কিন্তু এখন অনেক কমে আসছে। আগে ভারত থেকে যে পরিমাণ ফেনসিডিল আসতো এখন তার ৫৯ ভাগও আসে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যারা ফেনসিডিল তৈরি করে তারা যাতে সেখানে সে কাজটি না করে সে বিষয়ে ভারতকে বলা হয়েছে। ভারতও সে বিষয়ে কাজ করছে। এরপরও কিছু যে আসছে না আমি সেটা বলব না। আমরা সেই জায়গাটিতে কাজ করছি। মিয়ানমার সীমান্ত শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্তের কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী দুটি হেলিকপ্টার কেনার অনুমতি দিয়েছেন। এই দুটি হেলিকপ্টার আসছে। সীমান্ত দিয়ে অবাধে যেন মাদক না আসে সেজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমরা করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর