এফ আর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে টাওয়ারের মালিক, রাজউকের প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন- এফ আর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তানভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, প্রাক্তন সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, প্রাক্তন পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, প্রাক্তন প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, প্রাক্তন ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক, বিসিএসআইআরের সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান। এ মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফ আর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
অপর মামলায় এফ আর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- এফ আর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম, প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান ও প্রাক্তন অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।।