× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবাহনীর বাঁচা-মরার লড়াই

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ঘরের  মাঠে গত ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের দরজায় দাঁড়িয়ে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সেরা দলটি। গ্রুপ পর্বে (‘ই’ গ্রুপ) নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ তাদের প্রতিপক্ষ ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাব। ঘরের মাঠে ভারতের এই দলটির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বিকাল ৪.৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে দু’দল। যে ম্যাচে জয় দিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে খেলতে চায় ঢাকার জায়ান্টরা।
‘ই’গ্রুপে আজ আবাহনী-মিনেরভার ম্যাচ ছাড়াও আরো একটি ম্যাচ আছে। চেন্নাইয়ান এফসির মুখোমুখি হবে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি । তবে দিনের প্রথম ম্যাচটি আবাহনীর।
এ ম্যাচে জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডের টিকেট পাবে আকাশী হলুদ শিবির। কারণটা হলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার দৌড়ে তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাইয়ানের ৮ পয়েন্ট। যেখানে আবাহনীর আছে ১০ পয়েন্ট। এ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেলেই আর আবাহনীকে ছোঁয়ার সম্ভাবনা নেই গ্রুপের কোনো দলের। আবাহনী ড্র করলেও সুযোগ থাকছে। কারণ গোল গড়েও এগিয়ে আবাহনী। কিন্তু যদি অন্য ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ান বেশি গোলের ব্যবধানে জিতে যায় তাহলে অন্য হিসেব নিকেশের সামনে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়নদের। যে কারণে কোনো পরিস্যংখ্যানে না গিয়ে সরাসরি তিন পয়েন্ট নিয়েই পরের রাউন্ডে যেতে চায় বাংলাদেশের ক্লাবটি।
এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে পদচারণাটা এবারই প্রথম নয় ঢাকা আবাহনীর। তবে এর আগে কোনবারই এতোটা গুরুত্ব দিয়ে এএফসি কাপে খেলেনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে নাম লেখানো আবাহনী এবার প্রথম থেকেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ছিলো নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবের বিপক্ষে সেখানের আনফা কমপ্লেক্সে। ওই এ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলের জয় দিয়ে শুরু আবাহনীর। এরপর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হোম ম্যাচে ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র।  ৩০ এপ্রিল ভারতের চেন্নাইয়ান এফসির বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলের হারে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে আকাশী-নীলদের। তবে ১৫ই মে সেই একই দল যখন ঢাকার মাঠে খেলতে আসে তাদের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নেয় ঢাকা আবাহনী। ঐ ম্যাচে তারা চেন্নাইয়ানকে হারায় ৩-২ গোলের ব্যবধানে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে দুর্দান্ত আবাহনী এএফসি কাপে আবারো একটি জয় তুলে নেয় গত ১৯শে জুন। আর সেটি যে দুর্দান্ত জয় ছিলো, বলার অপেক্ষা রাখেনা। পরবর্তী রাউন্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কোর একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। কারণ গ্রুপের অন্য দল চেন্নাইন এফসি গোল গড়ে এগিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলো আবাহনীকে। আর সেই চ্যালেঞ্জটা খুব দক্ষতার সঙ্গেই উতরেছে কোচ মারিওর শিষ্যরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সিড়িটা আরো মজবুত করে। আবাহনীর জন্য দুঃসংবাদ এই ম্যাচে ভিসা জটিলতায় থাকছেন না দলের অন্যতম নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। তাই তাদের দুই বিদেশি নিয়েই খেলতে হচ্ছে।
আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস বলেছেন,‘আমরা পরবর্তী রাউন্ডে যাবার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। গ্রুপের এই শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই প্রথমবারের মতো আমরা পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবো। আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর