× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তাবরেজের পিতাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ঝাড়খন্ডে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ২৬, ২০১৯, বুধবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন

ভারতের ঝাড়খন্ডে ১৭ই জুন পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারীকে। ঠিক এর ১৫ বছর আগে তার পিতা মাসকুর আনসারীকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। জামশেদপুরের বাগবেড়া এলাকায় চুরির অভিযোগে তাকে ধরে প্রচন্ড প্রহার করেছিল লোকজন। তাবরেজ আনসারীকে হত্যার পর এখন এতদিন পরে সেই কথা সামনে তুলে এনেছেন স্থানীয়রা। ফলে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ এখন। এ ঘটনায় বাগবেড়া পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জামশেদপুরে কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশাহিদ খান বলেছেন, মাসকুর আনসারীর মৃতদেহ সনাক্ত করার পর তা তার গ্রামের বাড়ি আনতে তিনি জামশেদপুরে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী ওই ঘটনার সাক্ষী। তবে তদন্ত সংস্থাগুলো তাদেরকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে পারে এ আশঙ্কায় তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে চান না। তবে তারা বলেছেন, দাঙ্গাবাজরা হত্যা করেছিল মাসকুরকে। তাকেও উত্তেজিত জনতা আটক করেছিল। এরপর প্রহার করা হয়েছিল। কেটে দেয়া হয়েছিল গলা। একজন বয়স্ক নারী বলেন, যখন তার মৃতদেহে গ্রামে আনা হয়েছিল তখন আমরা তা দেখেছি।

বাগবেড়া এলাকার অনেক মানুষ ২০০৪ সালের নভেম্বরে সংঘটিত সেই পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহতা স্মরণ করেন এখনও। স্থানীয় নেতা ও সমাজসেবক সুবোধ কুমার ঝা বলেন, একদিন রামনগরের লোকজন মাসকুরকে আটক করে এবং তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। উল্লেখ্য, প্রায় এক সপ্তাহ আগে মাসকুরের ছেলে তাবরেজকে একটি মোটর সাইকেল চুরির দায়ে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। এরপর জনতা তাকে বেদম মারপিট করে। সারারাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। তারপর তুলে দেয় পুলিশের হাতে। পুলিশ ২ দিন পরে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। পরে তিনি মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি মুসলিম হওয়ায় তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। নির্যাতনের সময় তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর