বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, জ্ঞান বিতরণ না করলে সার্থক হবে না। জ্ঞান অর্জন করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না, তা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি একদিন এই বিশ্বে থাকবেন না, কিন্তু আপনার ভালো লেখা বইটি পড়ে মানুষ উপকৃত হবেন। তখনই আপনি সার্থক। দেশে চর্মরোগের তেমন ভালো বই নেই। তাই ‘ফান্ডামেন্টাল অব ডার্মাটোলজি’ বইটি মানুষের অনেক উপকারে আসবে। ভবিষ্যতে বইটিতে আরও নতুন কিছু সংযোজন করার পরামর্শ দেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
গতকাল রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে ‘ফান্ডামেন্টাল অব ডার্মাটোলজি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বইটি ডিওসি (সার্টিফিকেট কোর্স অব ডার্মাটোলজি) প্রকাশ করেছে। দেশের চর্মরোগের ছয় বিশেষজ্ঞ বইটি লিখেছেন। বিশেষজ্ঞরা হলেন-অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম, ডা. আমিনুল ইসলাম, ডা. রহমত উল্লাহ, ডা. মো. মাহবুবুর রহমান শাহীন। বইটি পড়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, যারা প্রাক্টিস করছেন তারা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের উপকারে আসবে বলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, চর্মরোগ বিদ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিষয়ে গ্রাম-গঞ্জে বিশেষ চিকিৎসক খুবই দরকার। আজ যারা এই বিষয়ে ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) বই লিখেছেন তা গ্রামের মানুষের ভবিষ্যতে উপকারে আসবে বলে বিশ্বাস করি। আর বইটি যখন গ্রহণযোগ্য হবে তখনই সার্থক। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বট গাছ নিজের জন্য কিছু করে না, কিন্তু তার দ্বারা মানুষের অনেক উপকার হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক (অব) সৈয়দ আফজালুল করিম বইটির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বইটি একা লেখা হয়নি। গ্রুপে সমন্বিতভাবে লেখা হয়েছে। এটি ডার্মাটোলজির ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) বই। এখানে চর্মরোগের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সার্টিফিকেট কোর্স অব ডার্মাটোলজি হচ্ছে মৌলিক কোর্স। ছয় মাসের কোর্স এটি। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ, ডিওসি এর চেয়ারম্যান এবং বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক এম এ ওয়াহাব, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।