× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শতবর্ষী রাবেয়ার মামলায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে তলব

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

শতবর্ষী নারী রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পরেও মামলার কার্যক্রম চালানোয় ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩রা জুলাই হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরকেও (এপিপি) উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। রাবেয়া খাতুনের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস মিয়া মারা গেছেন কিনা এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। পরবর্তী শুনানির দিনে রাবেয়া খাতুনকে আর আসতে হবে না।
তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
এর আগে, গত ৩০শে এপ্রিল শতবর্ষী রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওইদিন মামলার নথিও তলব করেন আদালত। পরে গত ১৫ই মে এক আদেশে ২৬শে জুন রাবেয়া খাতুনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন আদালত। এপিপিকে হাজির হতে বলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গতকাল রাবেয়া খাতুন এবং এপিপি সাহাব উদ্দিন মিয়া আদালতে হাজির হন।
উল্লেখ্য, গত ২৫শে এপ্রিল একটি দৈনিকে ‘অশীতিপর রাবেয়া, আদালতের বারান্দায় আর কতো ঘুরবেন তিনি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো.আশরাফুল আলম (নোবেল)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০২ সালের ২রা জুন অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ছয় মাস পর তিনি জামিন পান। রাবেয়া খাতুন, জুলহাস ও মাসুদ নামের তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ২৪শে মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় মামলাটির বিচার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর