× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী মিরাজ

বাংলাদেশ কর্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্মিংহাম থেকে
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ভারতকে হারালে সেমিফাইনালের অনেক কাছে চলে যাবে বাংলাদেশ দল। তখন শেষ প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে থাকবে পাকিস্তান। দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের এখন একটাই লক্ষ্য। যেকোনো মূল্যে ভারতের বিপক্ষে অতীতের রেকর্ড পরিবর্তন করতে চায় টাইগাররা। বিশ্বকাপে সেই ২০০৭ এর পর আর কখনো ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ছুটি পেলেও টিম হোটেলেই ছিলেন  মেহেদী হাসান মিরাজ। জাতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটারের অবসর সময়ের ভাবনা জুড়ে ভারতকে হারানোর পরিকল্পনা। তবে নিজেদের সেরা খেলার পাশাপাশি যে ভাগ্যও লাগবে সেটিও জানিয়েছেন অকপটে।
গতকাল বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ছুটিতে থাকায়  সংবাদ মাধ্যমে কেউ কথা বলার মতো ছিলেন না। মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন তার অফিসিয়াল কথা বলার অনুমতি নেই। মুশফিকুর রহীম  ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকলেও তাড়া এড়িয়ে চলেন সংবাদ মাধ্যম। এমনকি আইসিসির অফিসিয়াল ফ্রিফিংয়ে তাদের জোর করে পাঠানো যায় না। এমন দিনে দলের পক্ষে কথা বললেন মিরাজই। পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা আগে যত ম্যাচই হেরেছি তা খুব কাছে গিয়েই। আসলে আমাদের ভাগ্যও সহায়তা করেনি। এবার আমার বিশ্বাস আল্লাহ সহায় হলে এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারবো। এছাড়াও আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। দলের সবাই ভালো পজিশনে আছে।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারত হাঁটছে সেমিফাইনালের পথেই। শক্তিশালী এই দলের বিপক্ষে টাইগারদের পেরে ওঠাও বেশ কঠিন। ২০১৫ থেকে যতবারই দেখা হয়েছে দুই দলের বাংলাদেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ভারত সহজেই জিতেছে তা নয়। কথার ছলে অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন ৩০০ করলেও তা তাড়া করে জয় সম্ভব। মিরাজও তাই মনে করেন। এই আত্মবিশ্বাসের কারণও আছে। তিনি বলেন, ‘ দেখেন আমাদের দলের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বিশেষ করে সাকিব ভাই শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। বল হাতেও উইকেট পাচ্ছে। তামিম ভাই মুশফিক ভাই রিয়াদ ভাই দারুণ ভালো করছেন।’ সৌম্য দাদা,  সৈকত ভাইও তাদের অবদান  রাখছে। মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিনও দারুণ বল করছে। আমি তেমন উইকেট না পেলেও রান কম দিচ্ছি। বলতে পারেন যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা ডমিনেট করতে পারি। সেই হিসেবে বলবো এবার ইনশাল্লাহ ভারতকে হারাতে পারি।’
ইংল্যান্ড  পেস বোলারদেরই স্বর্গরাজ্য। কিন্তু এখানে বাংলাদেশের স্পিনাররাও দারুণ করছে। শুধু টাইগাররাই নয় ভারত, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের স্পিনাররাও দারুণ সুবিধা পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাঁহাতি সাকিবের সঙ্গে অফস্পিনার মিরাজের জুটিটা দারুণ হয়েছে। নিজেদের স্পিন বিভাগ নিয়েও বেশ সন্তুষ্ট এই তরুণ। মিরাজ বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে এই কন্ডিশনে পেসাররাই সুবিধা পায়।  পেস বোলাররাই ডমিনেট করবে এটাই সব সময় হয়ে আসছে। তবে আমাদের দলের স্পিনাররা সব সময় ভালো ভূমিকা রেখে আসছে। বিশেষ করে সাকিব ভাইকে দেখেন দলের বিপদে যে কোনো সময় তিনি জ্বলে ওঠেন। তিনি পরিস্থিতি অনুয়ায়ী বল করেন। এটি আমাদের জন্য বিশেষ করে আমার জন্য ভালো দিক। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এমনকি এখানেও চ্যালেঞ্জ ছিল আমার ভালো কিছু করে দেখানোর। যতটা সম্ভব করেছি, চেষ্টা থাকবে এরচেয়েও ভালো করার।’  
অলরাউন্ডার মিরাজের জন্য অনুপ্রেরণার নাম সাকিব। এই তরুণও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মত নিজেকে ব্যাটে বলে চেনাতে চান। তাই সাকিবের পারফরম্যান্সে তিনি ভীষণ অনুপ্রাণিত। মিরাজ বলেন, ‘সাকিব ভাই শুধু আমাদের কন্ডিশনেই নয় সব জয়গাতেই ভালো করছে। তিনি এখন শুধু আমাদেরই নয় সবার জন্য লিজেন্ড। আমার বড় সৌভাগ্য তার সঙ্গে খেলছি অনেক কিছু শিখছি। আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। তার কাছ থেকে কোন উইকেটে কিভাবে বল করবো এমন অনেক কিছুই শিখতে পারছি। সত্যি কথা, তার কাছ থেকে শিখতে পারাটা আমার  সৌভাগ্য।’ ভারতের বিপেক্ষ ম্যাচে সিনিয়রদের সঙ্গে তরুণরাও অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করেন মিরাজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর