× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেভাবে স্থগিত আইওএম নির্বাচন

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আইওএম’র উপ-মহাপরিচালক পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী বছরের বসন্তে ওই পদে নতুন করে ফের ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কাউন্সিল। ২০২০ সালের স্প্রিং অর্থাৎ মার্চ-জুনের মধ্যে নতুন নির্বাচন হবে জানিয়ে আইওএম-এর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপ-মহাপরিচালক পদে সদস্য রাষ্ট্রগুলো, যার মধ্যে প্রায় ১৫০ রাষ্ট্র ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিল। গত শুক্রবার বাংলাদেশ, সুদান, ফিলিপাইন, জর্ডান ও আফগানিস্তানের প্রার্থীদের মধ্য থেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে উপ-মহাপরিচালক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ওই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোন প্রার্থীই আইওএমএর নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত কাস্টিং ভোটের দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। একই সঙ্গে ২৬শে জুন কাউন্সিলের সভায় পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান উপ-মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডর লোরা থমসনকে কার্যভার চালিয়ে যাওয়ার ম্যান্ডেড বর্ধিত করা হয়।

আগামী সেপ্টেম্বরে লোরার দ্বিতীয় ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। তিনি ১০ বছর ধরে ওই পদে রয়েছেন।
আইওএম’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপ-মহাপরিচালক পদের ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। বাংলাদেশের প্রার্থী ২১শে জুনের ভোটভুটির পঞ্চম রাউন্ডে ৭৫ ভোট ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল চূড়ান্ত জয়ের শর্ত হ্যাঁ-না ভোটে উপস্থিত ভোটারদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন না পওয়ায় তার জয় আটকে যায়। বাতিল করা হয় কয়েক মাস ধরে চলা ওই নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া। গতকাল জেনেভা সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়) আইওএম’র ভোটের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে হ্যাঁ-না ভোট শুরু হয়। ভোটাভুটিতে উপস্থিত ১৪৪ জন সদস্য রাষ্ট্রের ভোট চাওয়া হয়। বাংলাদেশী প্রার্থীর চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল উপস্থিত ভোটারের দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৯৬ হ্যাঁ ভোট। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে হ্যাঁ ভোট পড়ে ৮৬টি আর বিপক্ষে না ভোট পড়ে ৫৭টি । উপস্থিত একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট প্রদান থেকে বিরতথাকেন। ফলে ১৪৩ ভোট গণনায় আসে।

কর্মকর্তারা জানান, এ অবস্থায় ভোটের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় আইওএম কাউন্সিল। গত শুক্রবার আইওএম’র উপমহাপরিচালক পদের নির্বাচনের ভোটাভুটি পঞ্চম রাউন্ড পর্যন্ত গড়ায়। শেষ রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রার্থী শহীদুল হক ৭৫ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্ধি সুদানের প্রার্থী পান ৭৩ ভোট। আইওএম’র নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে অন্য প্রার্থীরা ঝরে যান এবং জয়ের চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের সমর্থন আদায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থীকে হ্যাঁ ও না ভোটে দেয়া। কিন্তু শুক্রবার রাতে এ নিয়ে আফ্রিকান ইউনিয়ন জটিলতা তৈরি করলে মঙ্গলবার পর্যন্ত নির্বাচন মুলতবি করা হয়। বুধবার ফের কাউন্সিল বৈঠকে বসে এবং হ্যাঁ-না ভোট শুরু হয়। অভিবাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ শহীদুল হক এই সংস্থায় দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন। আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি ছিলেন সুদানের প্রার্থী আশরাফ আল নূর। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘে আইওএম-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫১ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা হচ্ছে ১৫০-এরও বেশি। ১৯৯২ সালে সংস্থাটি জাতিসংঘে স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ ও আইওএম একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর