× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুক, ইউটিউব গুগলকে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগের নির্দেশনা

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যানেলে সমপ্রচারিত সেবা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, টুইটার, ইয়াহু মেসেঞ্জার, জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব, সার্চ ইঞ্জিন গুগলসহ ডিজিটাল মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত সেবার বিপরীতে ভ্যাট নিতে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগের নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে এনবিআরকে। অর্থাৎ ফেসবুক-ইউটিউবের মতো ভার্চুয়াল জগতে বাংলাদেশ থেকে যেসব বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, তা থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নেবে সরকার।  আগামী ১লা জুলাই থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য বলেছে এনবিআর। এনবিআর-এর প্রথম সচিব (মূসক নীতি) হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে এ ধরনের সেবায় বিজ্ঞাপন থেকে সরকার কোনো শুল্ক আদায় করতো না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১লা জুলাই থেকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ কার্যকর হতে যাচ্ছে। এ আইনে অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বেতার ও টেলিভিশন মাধ্যমে সরবরাহকৃত সেবা, ইলেক্ট্রনিক সেবা সরবরাহকারীকে মূল্য সংযোজন কর ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে, সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী প্রত্যেক অনাবাসিক ব্যক্তিকে মূসক এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, রাজস্ব সুরক্ষা ও রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে প্রদত্ত বেতার এবং টেলিভিশন ও ইলেক্ট্রনিক সেবা (যেমন ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যম ব্যবহার করে প্রদত্ত মেসেজ, বিজ্ঞাপন ও অনুরুপ যেকোনো সেবা) সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানকে মূসক এজেন্ট নিয়োগ, মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করতে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হলো। ভ্যাট আইন অনুযায়ী ওইসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়া হবে।
নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী, দেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপন করতে হবে অথবা এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে তাদের মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো আইন না মানলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। সেক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের সাইট বন্ধ করে দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে, ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইয়াহু, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এবং সরকার অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট ট্রান্সফারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই পুরো টাকাটাই যাচ্ছে অবৈধ চ্যানেলে।
নন-ব্যাংকিং চ্যানেলে এ টাকা পরিশোধ হওয়ায় এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি এর বিপরীতে কোনো রাজস্বও পায় না সরকার। তাই ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর কাছ থেকে ভ্যাট নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে দেয়া বিজ্ঞাপনের লেনদেন থেকে সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই ভ্যাট আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২২শে জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দিয়েছিল এনবিআর। পরে সোমবার এনবিআরের নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর