× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশ্রয়শিবিরে এক মায়ের আর্তনাদ / আমার ছেলে মারা যাচ্ছে, সাহায্য করুন (ভিডিও)

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ২৭, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

মেক্সিকোতে শরণার্থী বা অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ফেরিয়া মেসোমেরিকানা। একমাসের মধ্যে তৃতীয়বার মঙ্গলবার সেখানে বিদ্রোহ করেছেন অভিবাসীরা। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গার্ড ও পুলিশরা তাদেরকে বিরত রাখে। এ সময় হাইতির এক মা আর্তনাদ করতে থাকেন। দু’সন্তানের মা দু’হাত প্রসারিত করে দিয়ে ধুলোবালির মধ্যে উপুর হয়ে চিৎকার করছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমাকে সাহায্য করুন। আমার ছেলে মারা যাচ্ছে। অনেকদিন ধরে সে অসুস্থ।
আমিও অনেক দুর্ভোগে।

ওই বন্দিশিবিরের একটি গেটের নিচ দিয়ে তিনি কোনোমতে চোখমুখ বের করে চিৎকার করছিলেন- আমাদেরকে খাবার দেয়া হয় না। পান করার জন্য পানি নেই। আমার ছেলেকে সহ আমাকে বাঁচান। আমার ছেলে অসুস্থ। দুটি ছেলে আছে আমার। একজনের বয়স ৫ বছর। অন্যজনের বয়স ১৪ মাস। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।
 
ওই অভিবাসন কেন্দ্রে এই মা তার সন্তানদের নিয়ে অবস্থান করছেন ১০ দিন। বিদ্রোহ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাকে আটকে দেয় ন্যাশনাল গার্ড, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন ও ফেডারেল পুলিশ। বৃটিশ একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ লিখেছে, ওই আশ্রয় শিবিরে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে শত শত আফ্রিকান ও হাইতির অভিবাসীকে। মঙ্গলবার সেখানে বিদ্রোহ হয়। অভিবাসীরা খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা ও অভিবাসী হিসেবে ওই স্থান ত্যাগ করার অনুমতি চাওয়ার পর সেখানে বিদ্রোহ শুরু হয়। খাদ্য না থাকা, মলমূত্রে উপচে পড়া টয়লেট, ইদুরে সয়লাব, তেলাপোকার উপদ্রব সহ নানা অনিয়মে এই আশ্রয়শিবির নিয়ে এমনিতেই সমালোচনা আছে। এখানকার ৯ ফুট বাই ১২ ফুট একটি কক্ষে ঘুমাতে হয় ৫০ জন মানুষকে। তবে মঙ্গলবারের বিদ্রোহের খবরকে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের ভিতরে আরেকটি বিরক্তিকর ঘটনা ঘটেছিল। সব অভিবাসীকে যথোপযুক্ত খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর