× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দলের সঙ্গে অনুশীলনে মাহমুদুল্লাহ

বাংলাদেশ কর্নার

ইশতিয়াক পারভেজ, বার্মিংহাম থেকে
১ জুলাই ২০১৯, সোমবার

পাঁচদিনের লম্বা ছুটি। দলের প্রায় প্রত্যেক ঘুরে বেড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের নানা প্রান্তে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতেই ছিল ছুটির সময়টা। কিন্তু গতকাল তাদের সেই স্বস্তি অনেকটাই উড়ে গেছে। এরই মধ্যে পাকিস্তান ৯ পয়েন্ট নিয়ে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশকে। তাই শেষ দুই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের বিকল্প নেই। এরপরও তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডের দিকেও। বলার অপেক্ষা রাখে না ছুটি শেষে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বাংলাদেশ দলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল টিম হোটেল থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় দলের প্রায় প্রত্যেক সদস্য বের হয়ে গেলেন অনুশীলনে। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে দেখা গেল সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। ছিলেন ইনজুরি আক্রান্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের প্রাকটিস মাঠে এই প্রথম অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে টাইগাররা। সবাইকে নিয়ে বাস চলে যেতেই দেখা গেল হঠাৎ নিচে নেমে এসেছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ততক্ষণে সতীর্থরা মাঠের পথে। বাধ্য হয়েই অন্য একটি গাড়িতে করে তাকে অনুশীলনে যেতে হলো একা। মাঠে গিয়েও যে তাদের মন পড়ে থাকবে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচেও ভাগ্য আটকে আছে তাদের। যেতে যেতে তা বলে গেলেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। বললেন, ‘বিরতির পর আজ (রোববার) তারা অনুশীলন শুরু করছে। সবাই ভালো মেজাজে ও উদ্যমী রয়েছে। সবার চোখ ছিল ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচে। আমাদের সামনে এখন বিগ ম্যাচ বিশেষ করে ভারত ম্যাচটা এজেন্ডা।’
আগের দিন সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে ফিরে আসেন দলের অনেক ক্রিকেটারই। পরিবার নিয়ে সেখানে সময় কাটানো সহঅধিনায়ক সাকিবও ফিরেছেন সপরিবারে। সংবাদমাধ্যমের চোখ আসলে বেশি করে তাকেই খুঁজছিল। কিন্ত হোটেল থেকে বের হয়েই খুব দ্রুত উঠে গেলেন বাসে। এছাড়াও ক্রাচ ছেড়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বেশ কয়েক দিন ধরেই ইনজুরিতে আছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কাফ ইনজুরিতে পড়েছিলেন। এরপর দলের সবাই ঘুরে বেড়ালেও তাকে থাকতে হয় হোটেলবন্দি হয়ে। কেমন আছেন রিয়াদ? তাকে নিয়ে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, রিয়াদ হাঁটতে পারছেন। ভালো আছেন মনে হচ্ছে। কিন্তু অনুশীলন না করে নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে পারবেন না। নান্নু বলেন, ‘চোখের দেখা যতটা দেখছি তাতে ভালো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু যে পর্যন্ত মাঠে অনুশীলন না করছে আমরা সঠিকভাবে কিছু বলতে পারবো না। আমাদের এখন তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসা ঠিকভাবে হয়েছে। বাকিটা ওর (মাহমুুদুল্লাহ) উপর নির্ভর করছে।’
ছুটির পর দলের মনোভাব নিয়ে এখন বেশ ফুরফুরে হলেও তাদের সামনে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ তা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘আসলে ছুটি ছিল তাই কোনো পরিকল্পনা হয়নি সামনে কী করবো। তবে পাকিস্তান জিতে যাওয়াতে অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। ইংল্যান্ড জিতে গেলেতো আরো কঠিন। সব মিলিয়ে এখন আমাদের সামনে আরো কঠিন সময়। এক কথায় বলতে হয় শেষ দুই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। ভারত সহজ নয়, পাকিস্তানও যে সহজ হবে তাও না। নিজেদের সেরা খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি মনে করি সেমিফাইনালের সম্ভাবনা এখনো আমাদের আছে।’
দলের ব্যাটিংটা ভালো হলেও বোলিং হচ্ছে যাচ্ছেতাই। বিশেষ করে যে পেস আক্রমণের উপর দলের আস্থা ছিল তারা তা পুরোপুরি মেটাতে পারেননি। যদিও মোস্তাফিজুর রহমান ৬ ম্যাচে ১০ সাইফুদ্দিন ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। রুবেল হোসেন মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই দলকে ডুবিয়েছেন ৯ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে। তবে মাশরাফির উইকেট কম পাওয়া নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় কোর্টনি ওয়ালশ। বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওয়ালশ বলেন, ‘উইকেট সব ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের মানদণ্ড নয়। তার (মাশরাফি) ইকোনমি রেট ভালো। সে ভালো বোলিং করছে তাই আমি মোটেও চিন্তিত নই। সে তার কাজটা করছে। সেটি করে যেতে থাকলে উইকেট আসবে। সামনে তো দুটি ম্যাচ আছে আশা করি সে করে দেখাবে।’ শেষ দুই ম্যাচে জিততে হলে শুধু ব্যাটিংই নয় বোলিংটাও হতে হবে সেরা। সেটি করতে পারলে না পারলে এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হবে দেশে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর