× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টিম অ্যানালাইসিস

বাংলাদেশ কর্নার


৫ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

বাংলাদেশের শক্তি
ব্যাটিংটাই বাংলাদেশের মূল শক্তি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ- এই চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি আসরে সাকিব ৭ ম্যাচে ৯০.৩৩ গড়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫৪২ রান করেছেন। ২ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪ হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। মুশফিক ৭ ম্যাচে ৫৮.৫০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৩৫১ রান। সেঞ্চুরি একটি, হাফসেঞ্চুরি ২টি। ওপেনার তামিম ইকবালের ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। ৭ ম্যাচে মাত্র একটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন।
তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাটিং রেকর্ড ভালো।  ১৬ ম্যাচে ৬৭৬ রান করেছেন তামিম। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে তামিমের। ১৫ ম্যাচে সাকিবের রান ৪৮৯ আর ১৩ ম্যাচে ৪২৬ রান করেছেন মুশফিক। অভিজ্ঞদের সঙ্গে লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের সমন্বয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শক্তি আরো বাড়িয়েছে। সাইফুদ্দিন ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। শেষের দিকে ঝড় তুলতে পারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। আর বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমান গড়ে দিচ্ছেন ব্যবধান।  ৭ ম্যাচে তার শিকার ১৫ উইকেট। গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। তার একটা স্পেলই পাকিস্তানের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
পাকিস্তানের শক্তি
পাকিস্তান দলে কয়েকজন ভালো মানের ব্যাটসম্যান রয়েছেন। যদিও ওপেনার ফখর জামান-ইমাম উল হক চলতি বিশ্বকাপে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। কিন্তু ক্রিজে মানিয়ে গেলে দু’জনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করা বাবর আজম প্রতি ম্যাচেই রান করেছেন। আসরে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনি। মিডল অর্ডারে হারিস সোহেল রয়েছেন ফর্মে। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি রয়েছে হারিসের।  আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমও দেখিয়েছেন তিনি ম্যাচ জেতাতে পারেন। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং শক্তিতে এগিয়ে পাকিস্তান। তিন পেসার মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ আর শাহীন শাহ আফ্রিদি রয়েছেন ছন্দে। আমির ৭ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন।  ৪ ম্যাচেই শাহীনের শিকার ১০ উইকেট। ওয়াহাব ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। স্পিনারদের মধ্যে শাদাব খান পেয়েছেন ৭ উইকেট।
বাংলাদেশের দুর্বলতা
মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কারো বোলিং তেমন ভালো হয়নি।  মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১০ উইকেট নিলেও অনেক রান দিয়েছেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার শিকার মাত্র ১ উইকেট। তার বলও সহজেই খেলছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান। আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুই ম্যাচে খেলানো হয়েছে ডানহাতি পেসার রুবেল হোসনেকে। মাত্র ১ উইকেট নিয়ে সবাইকে হতাশ করেছেন রুবেল।
পাকিস্তানের দুর্বলতা
ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতার অভাবই পাকিস্তানের বড় সমস্যা। ৫০’র উপর গড় নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন ওপেনার ফখর-ইমাম। ফখর ৭ ম্যাচে মাত্র একটি ফিফটি পেয়েছেন। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দু’বার। ইমামও ইনিংস বড় করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৩ রানই সর্বোচ্চ ইনিংস তার। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটেও রান নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর