শেষের পাতা
ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তিত সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
২০১৯-০৭-০৮
মশা নির্মূলে দেশের সব সিটি করপোরেশনগুলোর কার্যক্রমে নাখোশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় সিটি করপোরেশনগুলোতে চিঠি দিচ্ছে তারা। এরপরও মশার উপদ্রব কমার দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। এজন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে চিন্তিত সরকার। গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাড়াও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কাজে মোট ৩৪৮ জন কর্মী এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৮০ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন।
এছাড়া ঢাকা মশক নিবারনী দপ্তরে স্থায়ীভাবে ২৭৬ জন মশক কর্মী নিয়োজিত আছেন। গতকালের উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আক্রান্তদের ৯৮-৯৯ শতাংশের ‘ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু’ হচ্ছে। এটা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চলে যায় এবং এতে তেমন ক্ষতির কারণ থাকে না। সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্যান্য এলাকার তুলনায় মশার উপদ্রব বা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু আমাদের যেসব নতুন ইউনিয়নগুলো যুক্ত হয়েছে কিংবা ধানমন্ডি, মানিকনগর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বেশ কিছু ঝোপঝাড় রয়েছে, সেখানে গাছপালা রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ব্যাপক এলাকাতে ডেঙ্গু বা মশার উপদ্রব তেমনভাবে নেই, আমি আমার জনগণকে আশ্বস্ত করে বলছি। স্বাভাবিক পরিস্থিতির বাইরে আমরা যেতে দেব না। সবশেষে যে কথাটি বলব- আতংকিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ভয় ধরে গেলে মারাত্মক বিষয় হয়ে যায়।
একটা মশায় কামড় দিলে ডেঙ্গু হয়ে যাবে, কমপ্লিকেটেড হয়ে যেতে পারে। বিষয়টা একেবারেই সেই রকম নয়। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ডেঙ্গু হচ্ছে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু, ৭ থেকে ১০ দিনের জ্বরে এটা সেরে যায়। এটাতে কেমন কোনো ক্ষতির কারণ থাকে না। আমার এই চার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই। কতজন আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ১০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৪ জন রোগী বাসায় চলে গেছেন। ৩০০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। মারা গেছেন ২ জন। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এখন বলুন, এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা কিনা। এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি না। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করে একেকটি এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজসহ সাতজন করে নাগরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্ডে ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা বিষয়গুলো তদারকি করছেন। আমাদের স্প্রে-ম্যান যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে সহজেই চিহ্নিত করতে পারছি।
এছাড়া ঢাকা মশক নিবারনী দপ্তরে স্থায়ীভাবে ২৭৬ জন মশক কর্মী নিয়োজিত আছেন। গতকালের উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আক্রান্তদের ৯৮-৯৯ শতাংশের ‘ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু’ হচ্ছে। এটা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চলে যায় এবং এতে তেমন ক্ষতির কারণ থাকে না। সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্যান্য এলাকার তুলনায় মশার উপদ্রব বা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু আমাদের যেসব নতুন ইউনিয়নগুলো যুক্ত হয়েছে কিংবা ধানমন্ডি, মানিকনগর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বেশ কিছু ঝোপঝাড় রয়েছে, সেখানে গাছপালা রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ব্যাপক এলাকাতে ডেঙ্গু বা মশার উপদ্রব তেমনভাবে নেই, আমি আমার জনগণকে আশ্বস্ত করে বলছি। স্বাভাবিক পরিস্থিতির বাইরে আমরা যেতে দেব না। সবশেষে যে কথাটি বলব- আতংকিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ভয় ধরে গেলে মারাত্মক বিষয় হয়ে যায়।
একটা মশায় কামড় দিলে ডেঙ্গু হয়ে যাবে, কমপ্লিকেটেড হয়ে যেতে পারে। বিষয়টা একেবারেই সেই রকম নয়। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ডেঙ্গু হচ্ছে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু, ৭ থেকে ১০ দিনের জ্বরে এটা সেরে যায়। এটাতে কেমন কোনো ক্ষতির কারণ থাকে না। আমার এই চার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই। কতজন আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ১০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৪ জন রোগী বাসায় চলে গেছেন। ৩০০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। মারা গেছেন ২ জন। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এখন বলুন, এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা কিনা। এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি না। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করে একেকটি এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজসহ সাতজন করে নাগরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্ডে ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা বিষয়গুলো তদারকি করছেন। আমাদের স্প্রে-ম্যান যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে সহজেই চিহ্নিত করতে পারছি।