চার দলের সেমি নিশ্চিত হয়ে ছিল আগেই। শনিবার লীগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের পর ঠিক হয়ে গেল সেরা চারে কে কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে। টেবিলের তিনে ইংল্যান্ড ও চারে নিউজিল্যান্ডের জায়গা পাকাই ছিল। লড়াই ছিল শীর্ষ আসন নিয়ে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটে হারিয়ে টেবিলের এক নম্বরে থেকে লীগ পর্ব শেষ করলো ভারত। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে দুইয়ে থাকল অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে ফরম্যাট অনুযায়ী টেবিলের এক ও চার নম্বর দল লড়বে প্রথম সেমিতে। যে ম্যাচে বিরাট কোহলির ভারতকে ফাইনালের টিকিট কাটতে লড়তে হবে গত আসরের রানার্সআপ কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আর শিরোপার মঞ্চে যেতে অন্য সেমিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়াকে পরীক্ষা দিতে হবে স্বাগতিক দল এউইন মরগানের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
টেবিলের শীর্ষে থাকা ভারত ৯ ম্যাচে ৭ জয়, এক পরাজয় ও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত এক ম্যাচের পর ১৫ পয়েন্টে নাম্বার ওয়ান। তাদের সাতটি জয় এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। ৫ জয় ৩ পরাজয় ও বৃষ্টিতে এক ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ১১ পয়েন্টে নিয়ে টেবিলের চারে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের পাঁচ জয় এসেছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১৪, ৯ ম্যাচে ৭ জয়ের পিঠে ২ হার আছে তাদের। অজিদের সেরা চারের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড ১২ পয়েন্টে টেবিলের তিনে থেকে লীগপর্ব শেষ করেছে। সমান ম্যাচে ৬ জয়ের সঙ্গে ৩ হার দেখেছে মরগানের দল। আসরে অস্ট্রেলিয়া হারায় আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হেরেছে ভারত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তারা হেরেছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার কাছে। চারে থাকা নিউজিল্যান্ডের সমান ১১ পয়েন্ট পাকিস্তানেরও। তবে রানরেটে পিছিয়ে পাঁচে সরফরাজের দল। ৯ ম্যাচে ৫ জয়ের পিঠে ৩ হার ও একটি ম্যাচে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে তাদের।
প্রথম সেমি: ভারত-নিউজিল্যান্ড
(ম্যানচেস্টার, ৯ই জুলাই ৩.৩০ মিনিট)
দ্বিতীয় সেমি: ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
(বার্মিংহাম, ১১ই জুলাই ৩.৩০ মিনিট)