× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ফিটনেসের জন্য আইপিএলে নাম লেখাইনি’

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার

অফফর্মের কারণে মাঝে ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়েন জেসন রয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালও খেলতে পারেননি। দুই বছর পর আরেকটি সেমিফাইনাল খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। কাল  এজবাস্টনে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থ্রি লায়ন্সদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এবার রয়ের কোনো বিকল্প নেই ইংল্যান্ড দলে। চলতি আসরে ৬ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ দুই ম্যাচেই ফিফটি। কীভাবে ধারাবাহিক হয়ে উঠেছেন তিনি? জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই শুনিয়েছেন রয়।

চেষ্টা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছা যায় তার অনন্য উদাহরণ রয়।
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৩ ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৭.৬৯। এখন ৪২.৫৮। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও প্রথম দিকে ভালো খেলতে পারছিলেন না। একটা কারণ ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের পর হঠাৎ ইংল্যান্ডের খেলার ধরন পাল্টে ফেলা। নিজেদের গতানুগতিক স্টাইল ছেড়ে আক্রমণাত্মক কৌশল বেছে নেয় দলটি। সেটার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। ২০১৫’র মে মাসে অভিষেকের পর ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৬৭  রান। পরের ১০ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি হাঁকান রয়। এখন ৭৯ ইনিংস শেষে ৯ সেঞ্চুরি ও ১৭ হাফসেঞ্চুরি দাঁড়িয়েছে তার। রয় বলেন, ‘এটা কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আমি ফিটনেসের জন্য আইপিএলের নিলামে নাম দেইনি। আজকের এই অবস্থানে পৌঁছুতে আমি যা যা করার দরকার সবই করেছি।’

রয়ের একটা বড় সমস্যা হলো তিনি বেশ ইনজুরি প্রবণ। বিশ্বকাপটা এবার ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন তিনি। ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে করেন ৫৪ রান। কার্ডিফে তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেন ১৫৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়ে ছিটকে যান। তার অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। রয় বলেন, ‘কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর নিজের ফর্ম দিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিই। কিন্তু ইনফর্ম অবস্থায় চোটে পড়ার পর মনে হলো আমার বুঝি কোনো ভাগ্য নেই। মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।  এমতাবস্থায় আমাকে ইতিবাচক থাকা দরকার ছিল। সেজন্য আমি সতীর্থদের কাছাকাছি থাকতাম। মাঠে না নামলেও প্রতিটি ম্যাচেই তাদের সঙ্গে ভ্রমণ করেছি।’

চোট থেকে ফিরেই অবশ্য স্বরূপে উদ্ভাসিত হন রয়। ভারতের বিপক্ষে ইংলিশদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল। রয় বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি সামনের দুটো ম্যাচ খেলার জন্য আদর্শ অবস্থায় আছি। কৃতিত্বটা ডাক্তার ও ফিজিওর। তাদের কারণে আমার এখন এই পর্যায়ে। তবে আমি হয়তো পয়েন্টে ফিরছি না (ফিল্ডিং পজিশন) আপাতত  মিড-অফে ফিল্ডিং উপভোগ করছি।’
রয় বলেছেন, ‘সামনের দুটি ম্যাচ’। মানে অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনাল খেলারও স্বপ্ন দেখছেন এ ওপেনার। দেখা যাক, তার স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর