× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ক্যারি ম্যাচ উইনার, স্টার্ক তুরুপের তাস’

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

উসমান খাজার চোটের পর ম্যাথু ওয়েডের দলে ঢোকার ঘটনায় সেমিফাইনালের আগে অদ্ভুত সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। কম্বিনেশনের সংকট। খাজার জায়গায় ম্যাথু ওয়েডকে খেলালে বাদ যেতে হবে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিকে। কিন্তু তরুণ অজি কিপারকে বসানোর কোনো যুক্তি নেই। বিশ্বকাপে তার সংগ্রহ ৩২৯ রান, ব্যাটিং গড় ৬৫.৮। শেষ তিন ম্যাচে করেছেন ৮৫, ৭১ ও ৩৮ নটআউট।  সোজা কথা ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চরা যে ইনিংস শুরু করছেন, তা শেষ করে আসার দায়িত্ব পালন করছেন ক্যারি। এতেই শেষ নয়, বিশ্বকাপে এক অনন্য রেকর্ডের সামনে ক্যারি। আসরে এখনো পর্যন্ত তার ডিসমিসাল ১৯।
আর তিনটি শিকার হলে এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক ডিসমিসালের রেকর্ড গড়বেন তিনি । রেকর্ডটি ক্যারিরই পূর্বসূরি অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। ২০০৩ বিশ্বকাপে গিলির ডিসমিসাল ছিল ১৯টি। এত কিছুর পরও ইয়ান হিলি, ডিন জোন্সরা ম্যাথু ওয়েডকে খেলানোর পক্ষে। তবে এই পরিস্থিতিতে কেউই ক্যারিকে বসাতে বলছেন না। উল্টো ইয়ান হিলির মতো অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার ক্যারির প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘ক্যারির ব্যাটিং আমাকে মাইক হাসির এনার্জির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে দারুণ ফর্মে আছে। খুব বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলে না। তবে বড় শট নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, দেখে মনে হয়, তাকে আউটই করা যাবে না।’ একই সঙ্গে হিলি বলেছেন, ‘ছেলেটার সাহস আছে। ব্যাটিং করার সময় ভয়ডরহীন শট নিতে পারে। এটা তার সবচেয়ে পজিটিভ ব্যাপার।’
মাত্র এক বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ক্যারির। কিছু দিন আগেও অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলে খেলতেন তিনি।
ক্যারিকে যেমন ম্যাচ উইনার ধরছেন অজি ভক্তরা, তেমনি বোলিংয়ে তাদের তুরুপের তাস মিচেল স্টার্ক। এখন পর্যন্ত ২৬ উইকেট তুলে শীর্ষে আছেন এই স্পিডস্টার। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের কথা উল্লেখ করে অজিদের বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথ বলেছেন, ‘রয় এই মুহূর্তে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে দলকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। তারপরও বলব, আমাদের বোলাররা কিন্তু নতুন বলে চমৎকার বল করে। স্টার্ক তো দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে। যেটা সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হারা ম্যাচেও করেছে।’ শুধু গ্রিফিথই নন, ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ’র মনে হচ্ছে, স্টার্ক আরো একবার বিপদে ফেলতে পারেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। স্টিভের কথায়, ‘দলে যথেষ্ট কোয়ালিটি আছে। স্টার্ক বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে ম্যাচ উইনার। বিশেষ করে ডেথে চমৎকার বোলিং করছে। ১৫০ কিমি গতিতে ধেয়ে আসা তার ইয়ার্কারগুলো সামলানো কিন্তু সহজ নয়।’ স্টিভের পাল্টা যুক্তি, ‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের দিকে তাকিয়ে দেখুন। স্টার্ককে মারতে গিয়ে তারা পরপর উইকেট হারিয়েছিল। সুতরাং তাকে সাবধানে খেলতে হবে। স্টার্কই আমাদের তুরুপের তাস। তার কারণ, সে বড় ম্যাচ খেলতে বেশি ভালোবাসে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর