শেষের পাতা
কুমিল্লায় ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২০১৯-০৭-১১
কুমিল্লায় মা-ছেলেসহ প্রকাশ্যে ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় মারাত্মক আহত হয়েছে ২ নারীসহ আরো ৫ জন। পরে গণপিটুনিতে ঘাতক রিকশাচালক মোখলেছুর রহমান নিহত হয়েছে। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাঁধানগর গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বারের রাঁধানগর গ্রামের মর্তুজ আলী ওরফে মুতু মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান (৩৫) পেশায় রিকশাচালক। গতকাল সকাল ১০টার দিকে রিকশা চালিয়ে চান্দিনার বাগুর থেকে একটি ব্যাগে করে ধারালো লম্বা ছেনি নিয়ে প্রথমে সে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও মা মাজেদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই নাজমার মৃত্যু হয়। পরে ঘাতক একই বাড়ির মৃত শাহ আলমের শিশুপুত্র আবু হানিফ (১০)কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় শিশু হানিফের মা আনোয়ারা বেগম আনু ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে আসলে ঘাতক মোখলেছ তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। মা ও ছেলের হত্যা নিশ্চিত করে মোখলেছ রক্তমাখা ছেনি নিয়ে বাড়িতে ও রাস্তায় জাহানারা বেগমসহ আরো অন্তত ২ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে। পরে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে ঘাতক মোখলেছকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত নুরুল ইসলাম, ফাহিমা, রাবেয়া বেগম, মাজেদা বেগম ও জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ ঘাতক মোখলেছের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ভাবী মরিয়ম আক্তারকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহতের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ‘তার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার স্বামী মাদকাসক্ত কিংবা মানসিক সমস্যা ছিল না। মাঝে মধ্যে তার মাথাব্যথা করতো। তাই সে নিয়মিত মাথাব্যথার ট্যাবলেট খেতো। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে বিকালে বাসায় ফিরলেও গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফিরে ধারালো ছেনি নিয়ে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়েছে। কিন্তু কি কারণে সে বাড়ির লোকজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) সাখাওয়াৎ হোসেন, দেবিদ্বার সার্কেল মো. আমিরুল্লাহ ও ওসি মো. জহিরুল আনোয়ারসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম জানান, ঘাতক মাদকাসক্ত কিংবা মানসিক সমস্যা ছিল এমন তথ্য তার জানা নেই। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, ঘাতক মোখলেছ এলোপাতাড়ি ৮/৯ জনকে কুপিয়ে ছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ঘাতকসহ ৪ জনের মরদেহ পেয়েছি। হাসপাতালে আরো ২ জনের মৃত্যুর গুজব থাকলেও বিকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আর কারও মৃত্যু হয়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বারের রাঁধানগর গ্রামের মর্তুজ আলী ওরফে মুতু মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান (৩৫) পেশায় রিকশাচালক। গতকাল সকাল ১০টার দিকে রিকশা চালিয়ে চান্দিনার বাগুর থেকে একটি ব্যাগে করে ধারালো লম্বা ছেনি নিয়ে প্রথমে সে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও মা মাজেদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই নাজমার মৃত্যু হয়। পরে ঘাতক একই বাড়ির মৃত শাহ আলমের শিশুপুত্র আবু হানিফ (১০)কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় শিশু হানিফের মা আনোয়ারা বেগম আনু ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে আসলে ঘাতক মোখলেছ তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। মা ও ছেলের হত্যা নিশ্চিত করে মোখলেছ রক্তমাখা ছেনি নিয়ে বাড়িতে ও রাস্তায় জাহানারা বেগমসহ আরো অন্তত ২ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে। পরে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে ঘাতক মোখলেছকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত নুরুল ইসলাম, ফাহিমা, রাবেয়া বেগম, মাজেদা বেগম ও জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ ঘাতক মোখলেছের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ভাবী মরিয়ম আক্তারকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহতের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ‘তার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার স্বামী মাদকাসক্ত কিংবা মানসিক সমস্যা ছিল না। মাঝে মধ্যে তার মাথাব্যথা করতো। তাই সে নিয়মিত মাথাব্যথার ট্যাবলেট খেতো। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে বিকালে বাসায় ফিরলেও গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফিরে ধারালো ছেনি নিয়ে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়েছে। কিন্তু কি কারণে সে বাড়ির লোকজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) সাখাওয়াৎ হোসেন, দেবিদ্বার সার্কেল মো. আমিরুল্লাহ ও ওসি মো. জহিরুল আনোয়ারসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম জানান, ঘাতক মাদকাসক্ত কিংবা মানসিক সমস্যা ছিল এমন তথ্য তার জানা নেই। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, ঘাতক মোখলেছ এলোপাতাড়ি ৮/৯ জনকে কুপিয়ে ছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ঘাতকসহ ৪ জনের মরদেহ পেয়েছি। হাসপাতালে আরো ২ জনের মৃত্যুর গুজব থাকলেও বিকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আর কারও মৃত্যু হয়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।