× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫ দেশের ১১ ট্রফি

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

পিয়াস সরকার
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

চলছে এক দিনের আন্তর্জাতিক বিশ্বকাপের ১২তম আসর। খেলা হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। এরই মধ্যে ফাইনালে নিজেদের নাম লিখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আজ দ্বিতীয় সেমিতে খেলছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আজ ইংল্যান্ড জয় পেলে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখবে বিশ্ব। নিউজিল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ড কোনো দলেরই যে ছুঁয়ে দেখা হয়নি কাপটা।

এদিকে ৫ বার ট্রফি জয় করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর দুবার করে ঘরে তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত।
আর একবার করে কাপ ঘরে তোলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

এবার দেখে নেয়া যাক, ১১ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের কথা-

প্রথম বিশ্বকাপ- ১৯৭৫
চ্যাম্পিয়ন- ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এক দিনের ক্রিকেট তখন সবে শুরু হয়েছে। মাত্র ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবার পরেই মাঠে গড়ায় এই বিশ্বকাপ। এবার স্বাগতিক ছিলো ইংল্যান্ড। ৮ দলের লড়াই, আর বিশ্বকাপ ছিলো ৬০ ওভারের। আর বিশ্বকাপটা জয় করে পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ফাইনালে ১৭ রানে হার দেখে অস্ট্রেলিয়া।


দ্বিতীয় বিশ্বকাপ- ১৯৭৯
চ্যাম্পিয়ন- ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এই বিশ্বকাপটিও জয় করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এবার ফাইনালে হার দেখে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এবারও ক্লাইভ লয়েডের হাতে উঠে সম্মানের ট্রফিটি। আর ফাইনালে জয়টা ৯২ রানে।


তৃতীয় বিশ্বকাপ- ১৯৮৩
চ্যাম্পিয়ন-  ভারত

তৃতীয় বিশ্বকাপেও তৃতীয় বারের মতো আয়োজক দল ইংল্যান্ড। তবে এই বিশ্বকাপে সহ আয়োজক ছিলো ওয়েলস। তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন ভারত। তৃতীয় বারের মতো লর্ডসের ফাইনালে ক্যারিবীয়দের তারা ৪৩ রানে পরাজিত করে।


চতুর্থ বিশ্বকাপ- ১৯৮৭
চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া

চতুর্থ বিশ্বকাপে এসে ইংল্যান্ডের বাইরে খেলা হয়। আর এই বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলা হয় না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এবারের আয়োজক দেশ ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বকাপটা জয় করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তারা ইংল্যান্ডকে হারায় মাত্র ৭ রানে। আর এই বিশ্বকাপ দিয়ে ৬০ ওভার থেকে ক্রিকেট কমিয়ে করা হয় ৫০ ওভার।


পঞ্চম বিশ্বকাপ- ১৯৯২
চ্যাম্পিয়ন- পাকিস্তান

সাদা পোশাক ছেড়ে খেলা গড়ায় রঙিন পোশাকে। পঞ্চম বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া - নিউজিল্যান্ড। এবারের কাপটা তুলে ধরলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খান। তারা পাকিস্তান মেলবোর্নে ২২ রানে হারায় ইংল্যান্ডকে।


ষষ্ঠ বিশ্বকাপ- ১৯৯৬
চ্যাম্পিয়ন- শ্রীলঙ্কা

ফের বিশ্বকাপ উপমহাদেশে। এবারের বিশ্বকাপ ভারত-পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। আর কাপটা জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা। এটিই কোন স্বাগতিক দেশের প্রথম কাপ জয়। পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় লঙ্কানরা, অজিদের বিপক্ষে।


সপ্তম বিশ্বকাপ- ১৯৯৯
চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া

ফের খেলা ফিরলো ইংল্যান্ডে। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড-ওয়েলস-আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-নেদারল্যান্ড। এই বিশ্বকাপ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে। আর এই কাপটি নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে ফাইনালে ৮ উইকেটে হারায় পাকিস্তানকে। এটি অজিদেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়।


অষ্টম বিশ্বকাপ- ২০০৩
চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া

২০০৩ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া। এবারের কাপটিও যায় অস্ট্রেলিয়ায়র ঘরে। জোহানেসবার্গে ফাইনালে ১২৫ রানের পরাজয় দেখে ভারত।


নবম বিশ্বকাপ- ২০০৭
চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ও টানা ৩ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় এই বিশ্বকাপে। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবারের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৫৩ রানে হারায় তারা।


দশম বিশ্বকাপ- ২০১১
চ্যাম্পিয়ন- ভারত

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হবার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ আয়োজক ছিলো ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেবার কাপ ওঠে ভারতীয়দের হাতে। ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি। মুম্বইয়ে ৬ উইকেটে তারা হারিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। এটি লঙ্কানদের টানা দ্বিতীয় ফাইনালে হার।


একাদশ বিশ্বকাপ- ২০১৫
চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়। আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। এই দুই দেশই খেলে ফাইনাল। মেলবর্নে তারা জয় ছিনিয়ে নেয় ৭ উইকেটে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর