× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাতকে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি

শেষের পাতা

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার

ছাতকে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেন তার পরিষদের ৯ সদস্য। গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় জাউয়া ইউনিয়নে প্রাপ্ত ১টি ঘর নির্মাণে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে পরিষদের ৯ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া হয়েছে।

উপজেলায় বরাদ্দকৃত ১৪টি ঘরের মধ্যে জাউয়া বাজার ইউনিয়ন ১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গৃহহীনদের জন্য এসব ঘর নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পিআইসি কমিটি গঠন করে গৃহনির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, কোন পিআইসি কমিটি গঠন না করেই পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে দুর্নীতির মাধ্যমে ঘরটি বরাদ্দ দিয়েছেন। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্যকে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ব্যাহত করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা মনে করছেন।
গৃহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন তার পছন্দের ব্যক্তি পরিষদের সদস্য আঙ্গুর মিয়ার বোনের নামে এ ঘর বরাদ্দ দেন। বোনের নাম ব্যবহার করে ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া নিজ বাড়িতেই সরকারি ঘরটি নির্মাণ করছেন। পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে অনিয়মের মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, আব্দুন নুর, এসএম মাহমুদ, কাজী রুমেল মিয়া, হিরন মিয়া, আব্দুল হক, সুনা মিয়া, সদস্যা আফিয়া বেগম ও মমতাজ বেগম।  

জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ১৪টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ খরচ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়ন ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে এবং দোলারবাজার ইউনিয়নে ৩টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় এসব বাসগৃহ পিআইসি কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় এসব বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি হচ্ছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। ইউনিয়নের পরিষদের নির্বাচিতদের সমন্বয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হবে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর