× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিত,ওয়ার্নার না পারলেও পেরেছেন স্টার্ক

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার

অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ডটা টিকে ছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে। তার স্বদেশী গ্লেন ম্যাকগ্রার কীর্তিটা পরের আসর অর্থাৎ ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে। দুটোই ভাঙা পড়েছে এবারের বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেয়ার কৃতিত্বটা এখন ইংল্যান্ডের জো রুটের। সর্বোচ্চ উইকেটশিকার করার রেকর্ডটা শোভা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ারই মিচেল স্টার্কের নামের পাশে। তবে ২০০৩ আসরেই ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের গড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা এখনো অক্ষতই আছে। চলতি আসরে তিনজন ব্যাটসম্যানই থেমেছেন তার অর্জনের কাছাকাছি গিয়ে।
সর্বোচ্চ রান
ভারতের রানার্সআপ হওয়ার পথে ২০০৩ আসরে ১১ ইনিংসে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন।
এবার লীগ পর্বে তার উত্তরসূরি রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছয়শোর বেশি রান করে ফেলেন। বাংলাদেশ প্রথম পর্বে বাদ পড়ায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে থামতে হয় ৬০৬ রানে (৮ ইনিংস)। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াও। তাই রোহিত আটকে গেছেন ৬৪৮ রানে (৯ ইনিংস), ওয়ার্নার ৬৪৭ রানে (১০ ইনিংস)। সেমিতেই শচীনকে পেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। তবে নিজ নিজ ম্যাচে রোহিত ১ ও ওয়ার্নার ৯ রান করে সাজঘরে ফেরায় তা হয়নি। যদিও লিটল মাস্টার খ্যাত কিংবদন্তিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজনের সামনে, তবে সে পথটা বেশ কঠিন। ফাইনালে খেলবেন এমন তারকাদের মধ্যে রান সংগ্রহে সবার উপরে আছেন ইংলিশ তারকা রুট। এবার ১০ ইনিংসে তিনি করেছেন ৫৪৯ রান। শচীনকে পেছনে ফেলতে তার চাই ১২৫ রান। ৯ ইনিংসে ৫৪৮ রান নিয়ে পরের অবস্থানেই আছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। দুই দলের বাকিদের কারও নেই পাঁচশো রান। চারশোর বেশি রান আছে দুজনের- ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (১০ ইনিংসে ৪৯৬ রান) ও জেসন রয়ের (৬ ইনিংসে ৪২৬ রান)।
ফাইনালে সেঞ্চুরি
আগামীকাল ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে লর্ডসে নামবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। শচীনের রেকর্ড ভাঙা পড়বে না-কি অক্ষত থাকবে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে সেদিনই। তাকে ছাড়িয়ে যেতে সেঞ্চুরি তো হাঁকাতেই হবে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখা ব্যাটসম্যানদের। বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরির সংখ্যাও একেবারে বিরল নয়। আগের ১১ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দেখা গেছে ছয়টি সেঞ্চুরি। তাদের পাঁচজন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিয়েছিলেন, দুর্ভাগ্য কেবল একজনের। ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড ও ১৯৭৯ সালে একই দেশের ভিভ রিচার্ডস সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ফাইনালে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে শতরানের দেখা পেয়েছিলেন যথাক্রমে দুই অজি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২০১১ আসরের বিশ্বকাপের ফাইনালে লঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। তবে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপের মেডেলই উঠেছিল তার গলায়।
ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে গেলেন স্টার্ক
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনন্য এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। নিজ দেশের পেস কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী হওয়ার সুযোগ ছিল তার সামনে। দল হারলেও সে সুযোগ হাতছাড়া করলেন না স্টার্কও। ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। যা এই বিশ্বকাপে তার ২৭তম উইকেট। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাকগ্রা। এই বিশ্বকাপে তার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেই তাকে ছাড়িয়ে যান স্টার্ক। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় বর্তমানে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন লঙ্কান কিংবদন্তি দুই বোলার চামিন্দা ভাস এবং মুত্তিয়া মুরালিধরন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ২৩ উইকেট নেন ভাস। আর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ১০ ইনিংসে মুরালিধরন নেন ২৩ উইকেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর