× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত দলে গৃহদাহ / কোহলিদের ফেলে একাই দেশে ফিরলেন রোহিত

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার

ভারতীয় ক্রিকেট দল দুই ভাগে বিভক্ত। একটি দল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির অনুগত, অন্য দলটি রোহিত শর্মার ঘনিষ্ঠ- এমন খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ-এর দাবি, এই মুহূর্তে দুই শিবিরে বিভক্ত টিম ইন্ডিয়া। একটি শিবিরে অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রী। অন্য শিবিরে সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী ক্রিকেটাররা। এই দুজনের দ্বন্দ্বের জেরেই বিশ্বকাপে ভারতের হার। এ ছাড়া কোচিং স্টাফ নিয়েও সন্তুষ্ট নন ক্রিকেটাররা। ওই সংবাদ প্রকাশের পরই ভারতে এখন চলছে তুমুল সমালোচনা।
আর উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছেন রোহিত শর্মা। কোহলিদের ইংল্যান্ডে ফেলে একাই দেশে ফিরেছেন ভারত দলের সহ-অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে ভারতের হারের পরে ভারত দলে দলাদলির চিত্রটা প্রকাশ পায়। ভারতের সাজঘরের ভেতরের খবর বেরিয়ে পড়েছে সবার সামনে। সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিক জাগরণ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতামতকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। বিশ্বকাপ চলাকালীন অধিনায়ক ও কোচ মিলে নাকি একতরফা সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাস্ত্রীদের এমন বাড়াবাড়ির পিছনে রয়েছে বোর্ডের ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের সমর্থন।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কোহলি ও শাস্ত্রীর বক্তব্যকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। আম্বাতি রাইডুকে বাদ দিয়ে বিজয় শঙ্করকে সুযোগ দেয়া হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, শঙ্কর ক্রিকেটের তিনটি বিভাগেই (ফিল্ডিং, বোলিং ও ব্যাটিং) ভালো। অথচ বিশ্বকাপে শঙ্কর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার পরে চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয় তাকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শঙ্করকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোহলি ও শাস্ত্রী একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রোহিত এবং জসপ্রিত বুমরাহ ভারতীয় দলে অপরিহার্য। বাকিদের এই দলে জায়গা দোদুল্যমান। কোহলির ঘনিষ্ঠ হলে তবেই মিলবে দলে সুযোগ। রোহিত-পন্থিদের দলে জায়গা পাওয়া আবার কঠিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকেশ রাহুলের মাথায় ছিল শাস্ত্রী-কোহলির আশীর্বাদের হাত। সেই কারণে গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলেও একাদশে থেকে গিয়েছেন তিনি।
একই কারণে একজন স্পিনারকে খেলানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে যুজবেন্দ্র চাহালই ছিলেন এক নম্বর পছন্দ। সেখানে কুলদীপ যাদবের জায়গা হবে ডাগ আউটে। কারণ ভারত অধিনায়কের সঙ্গে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেন চাহাল। জসপ্রিত বুমরাহও নাকি কোহলিদের গুড বুকে নেই। তবে, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়, দলের অনেকেরই আস্থা হারিয়েছেন শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণ। এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘বিরাট তো ভালোই খেলেছে। কিন্তু শাস্ত্রী আর অরুণ কবে পদত্যাগ করবে?’
সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিসিসিআই প্রধান বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে কোহলির মতের খুব একটা পার্থক্য নেই। আর বিসিসিআইয়ের বাকি তিন প্রশাসকের নাকি দলের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলার পর্যাপ্ত ক্ষমতাও নেই। এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিও শাস্ত্রী ও কোহলিকে কোনো ব্যাপারে থামাতে পারছেন না। আর ঠিক এসব কারণেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হারের পর কোহলির সঙ্গে মতবিরোধ নিয়ে কোচ পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল অনিল কুম্বলকে।
ভারতের হেড কোচ ও সহকারী কোচের মেয়াদ আরো ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। হেড কোচ রবি শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণ অন্তরঙ্গ বন্ধু। কোহলি তাদের বেশ মান্য করেন। এসব নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হওয়াতেই বিশ্বকাপে সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ভারত এমন ইঙ্গিতই করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ভারতের সেমিফাইনাল শেষ হয়েছে ১০ই জুলাই। এতদিনে দেশে ফিরে আসার কথা কোহলি বাহিনীর। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় সেটা হয়নি। ভারত ফাইনালে খেলবে, সেটা ধরেই যে ফিরতি টিকিট কাটা হয়েছিল। ১৪ই জুলাইয়ের ফাইনাল পর্যন্ত তাই ইংল্যান্ডেই থাকতে হচ্ছে ভারত দলকে।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রোহিত দলের সবাইকে ইংল্যান্ডে রেখেই ফিরেছেন দেশে, অনেকটাই নিভৃতে। শুক্রবার রাতে মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর স্ত্রীর সঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতে দেখা যায় রোহিতকে। কারও সঙ্গে কথা বলেননি, ছিল না কোনো গণমাধ্যমের উপস্থিতি।
বিরাট-রোহিতের মধ্যে অদৃশ্য  লড়াই নিয়ে গুঞ্জন অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিরাটকে আনফলো করে শিরোনামে এসেছিলেন রোহিত। শীর্ষ দুই তারকার স্ত্রীদের মধ্যে সম্পর্কও নাকি শীতল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর