× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের নামে এসব কী?

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার

জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পড়েই কসরত দেখাচ্ছেন উশুকা। ঢাকায় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের দেখানো হচ্ছে বিদেশি প্রতিযোগী হিসেবে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বললেও লেখা রয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া ও বতসোয়ানার নামও। সাত দেশের নাম বলা হলেও কোনো দেশের পতাকার উপস্থিতি নেই। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, এভাবেই চলছে সুলতানা কামাল দ্বিতীয় এশিয়া কুংফু-উশু প্রতিযোগিতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের সহধর্মিণী সুলতানা কামালের নামে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। জাঁকজমকপূর্ণ নয়, অনেকটা নীরবেই শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্ককা, সোমালিয়া, বতসোয়ানা ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের অংশ নেয়ার কথা।
কিন্তু ক্রীড়া পরিষদে গিয়ে পাওয়া যায়নি সোমালিয়া কিংবা বতসোয়ানার কোনো ক্রীড়াবিদকে। তবে ব্যানারে লেখা না থাকলেও গাম্বিয়ার একজন প্রতিযোগী বসেছিলেন। খালিদ কামারা নামের এই ব্যক্তি আসলে গাজীপুরের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় অব টেকনোলজির একজন ছাত্র। চার বছর ধরেই এখানে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাকেই দেখানো হয়েছে গাম্বিয়ান খেলোয়াড়। যদিও সোমালিয়ার ক্রীড়াবিদের কথা জিজ্ঞেস করায় অনেকেই খালিদ কামারাকে দেখিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ কুংফু-উশু অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবং মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় দু’দিন ব্যাপী টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে এবং আলাদা উশু ফেডারেশন থাকা সত্ত্বেও এমন জরাজীর্ণ আয়োজনের প্রতিবাদ করেছেন তায়কোয়ান্ডো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হলেও এখানে আফ্রিকার দেশও রয়েছে। বিভিন্ন নামে-বেনামে টুর্নামেন্ট করে থাকে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন। যা আমাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়।’ উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, ‘কুংফু-উশু অ্যাসোসিয়েশন নামে ক্রীড়া পরিষদের অন্তর্ভুক্ত কোনো সংগঠন আছে বলে আমাদের জানা নেই। অনেক সময়েই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে এমন টুর্নামেন্ট করে আসছে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন। যা খুবই দৃষ্টিকটু। তাছাড়া এ সব টুর্নামেন্ট দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।’  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর