ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিচ্ছেন পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দার। বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে অবসরে যাচ্ছেন ক্রিকেটের শীর্ষ এ আম্পায়ার। অভিজ্ঞ এ আম্পায়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের অবশ্য পরিচিতিটা একটু ভিন্ন রূপে। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পাকিস্তানি এই আম্পায়ার।
আজ লর্ডসে আলিম দার দায়িত্ব পালন করবেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে। ফাইনালের আগেই টুইটারের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যাচ্ছে, লর্ডসের ফাইনালই হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে তার শেষ ম্যাচ। আম্পায়ারিংয়ে আসার আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া লীগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন আলিম দার। ২০০০ সালে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচের মাধ্যমে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক তার। ২০০৪ সালে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে স্থান পান তিনি।
২০০৫ ও ২০০৬ সালে আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার মনোনীত হন আলিম দার।
২০০৭ সালে ইতিহাসের মাত্র দশম আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ওডিআই ম্যাচ পরিচলানার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সবচেয়ে কম সময়ে ও প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ১০০ ওয়ানডে পরিচালনার কৃতিত্বও দেখান তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১১- টানা তিন বছর হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ, ৫টি অ্যাশেজ, ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে ত্রি-দেশীয় সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে ২০০তম ম্যাচ পরিচালনা করেন আলিম দার।